পুলিশ কারে কয়! এবার নমুনা টের পাচ্ছে খোদ ইডি
সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে এতদিন বিধাননগর পুলিশ ঢিলেমি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল ইডি। তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। আদালতের চাপে শেষ পর্যন্ত বিধাননগর পুলিশ সব তথ্য দিতে বাধ্য হয়। জোর কদমে তদন্ত শুরু করে ইডি। এর পরই ইডি অফিসারদের কাছে বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি ফোন আসতে থাকে। বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সংশ্লিষ্ট ফোন নম্বরের একটি তালিকাও পুলিশকে দেওয়া হয়। তবুও এক পা-ও এগোয়নি পুলিশ।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে ফোনে হুমকির ঘটনা। ইডি-র এক অফিসার জানান, "কোথা থেকে হুমকিবাজরা আমাদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর পেল, কে জানে! যখন-তখন ফোন আসছে। বলা হচ্ছে, তদন্ত বন্ধ না করলে দেখে নেওয়া হবে। মহিলা অফিসারদের ফোন করে অশ্লীল কথা বলা হচ্ছে।" প্রথমে এই ফোনগুলিকে গুরুত্ব না দিলেও পরে বিষয়টি বিরক্তিকর হয়ে ওঠায় এখানকার আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে ব্যাপারটা জানানো হয় দিল্লির সদর দফতরে। ইডি-র বড়কর্তারা সব কিছু জানিয়ে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে একটি চিঠি দেন। যে নম্বর থেকে ফোনগুলি আসছে, তার তালিকা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। তার পরও কোনও হেলদোল নেই। এমনকী, চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করার সৌজন্যটুকুও দেখায়নি বিধাননগর পুলিশ।
শুধু হুমকি নয়, তল্লাশিতে গিয়েও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়ছেন ইডি অফিসাররা। সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী পিয়ালি সেনের বাগুইআটির বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় এক দল লোক ক্রমাগত কটূক্তি করেছে ইডি অফিসারদের। প্রতিবাদ করলে 'দেখে নেওয়ার হুমকি' দেওয়া হয়েছে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে সুদীপ্ত সেনের অ্যাকাউন্টে তল্লাশি চালাতে গিয়েও একই ধরনের অভিজ্ঞতা তারা পড়েছে বলে অভিযোগ।