ধূপগুড়িতে কিশোরী গণধর্ষণ ও খুনে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধূপগুড়ি শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অনুকূল বর্মন এক পড়শির পাওয়ার টিলার ভাড়া করে জমি চাষ করতেন। কিছুদিন আগে পাওয়ার টিলারের ভাড়া নিয়ে দু'জনে বচসা হয়। অভিযোগ, যে ব্যক্তি পাওয়ার টিলার ভাড়া দিয়েছিলেন, তিনি শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। তাই ধূপগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর নমিতা রায়ের স্বামী চন্দ্রকান্ত রায় একটি সালিশি সভা ডাকেন সোমবার রাতে। উল্লেখ্য, চন্দ্রকান্তবাবু নিজেও প্রাক্তন কাউন্সলির ও শাসক দলের দাপুটে নেতা। বাড়তি টাকা দাবি করে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা অনুকূলবাবুকে চরম অপদস্থ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে তাঁর ১৫ বছরের মেয়ে। বাবাকে অপমানিত হতে দেখে সে এগিয়ে এলে তাকে 'দেখে নেওয়ার' হুমকি দেওয়া হয়। সালিশি সভার পরই মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে রেললাইনের ধারে তার নগ্ন ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, তাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার সকালে পুলিশ গ্রেফতার করে দু'জনকে।
অনুকূলবাবুর শ্যালক মজেন রায় বলেন, "ভাগ্নী ওর বাবাকে মারধরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিল। তাই ওকে ভয় দেখিয়েছিল চন্দ্রকান্ত রায়ের শাগরেদরা। তারাই ধর্ষণ করে খুন করেছে ওকে।"
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত বলে সন্দেহ। তাদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল নেতারা এর সঙ্গে দলের যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছেন। আর যার বিরুদ্ধে আঙুল উঠেছে, সেই চন্দ্রকান্ত রায় বলেন, "পুরোপুরি বানানো গল্প। মেয়েটির পরিবার সিপিএম সমর্থক। তাই আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা করতে এ সব করছে। সালিশি সভায় কাউকে অপদস্থ করা হয়নি, ভয়ও দেখানো হয়নি।" তাঁর দাবি, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তবে খামোখা কেন একজন কিশোরী আত্মহত্যা করবে, তার ব্যাখ্যা দেননি।
সিপিএমের ধূপগুড়ি জোনাল কমিটির সদস্য সঞ্জিত দে জানান, পরিবারটি বরাবর বাম সমর্থক। মেয়েটি বারোঘরিয়া দিব্যজ্যোতি হাইস্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়ত।