ঘুটঘুটে অন্ধকারে তিনতলার কার্নিশে দাঁড়িয়ে কে! হুলুস্থুল-কাণ্ড হুগলির হাসপাতালে
হাসপাতালে পরিবারের সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে গেলেন রোগী। ডাক্তার যেই ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য মুখ ঘুরিয়েছেন, সেই ফাঁকেই ওই রোগী পগার পার হাসপাতাল থেকে।
হাসপাতালে পরিবারের সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে গেলেন রোগী। ডাক্তার যেই ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য মুখ ঘুরিয়েছেন, সেই ফাঁকেই ওই রোগী পগার পার হাসপাতাল থেকে। ডাক্তারবাবু ফিরে দেখেন রোগী নেই বেডে। সবাই যখন শশব্যস্ত রোগীর খোঁজে, তখনই দেখা গেল তিন তলার কার্নিশে গুটিসুটি মেরে বসে রয়েছেন কে!
হাসপাতালের তিনতলার কার্নিশে অন্ধকারে ওই ছবি দেখে কর্মীদের আত্মারাম খাঁচা হয়ে গিয়েছিল। তারপর জানা গেল কার্নিশে দাঁড়িয়ে রয়েছে ডাক্তার দেখাতে এসে পালিয়ে যাওয়া সেই রোগী। তাঁকে নামাতে দমকল, পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মীরা হিমশিম খেয়ে গেলেন বৃহস্পতিবার রাতে। কোনও মতে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তিনতলার কার্নিশ থেকে তাঁকে নিচে নামাতে সমর্থ হন কর্মীরা।
কিন্তু কেন এই কাণ্ড ঘটালেন ওই রোগী? রোগী নিজেই জানালেন, তাঁর ভয় ইঞ্জেকশনে। ডাক্তারবাবু ইঞ্জেকশন দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতেই তাল বুঝে সকলের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি লুকিয়ে পড়েন কার্নিশে। আর নামতে পারেননি। তার আগে ওই রোগীর সন্ধান পেতে নাকাল অবস্থা বাড়ির লোকেরও। অবশেষে খোঁজ পেয়ে স্বস্তি পরিবার-পরিজনের।
হুগলির চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যসের সঙ্গে রাকেশ নামে ওই যুবক এসেছিলেন হাসপাতালে। ভদ্রেশ্বর রেল কোয়ার্টারের বাসিন্দা ওই রোগী মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রথমে হাসপাতালে গিয়ে বসলেও, ইঞ্জেকশন দেওয়ার আগে তিনি বেপাত্তা হয়ে যান। শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতালে।
\রাত তখন ১০টা। কর্মীরা রোগীকে খুঁজতে গিয়ে হিমশিম হয়ে গিয়েছেন, তখনই কার্নিশে বলে থাকা ওই যুবককে দেখে আঁতকে ওঠার জোগাড়। অনেক অনুনয়-বিনয় করেও যখন রাকেশ কিছুতেই নেমে আসছে না, তখন খবর দেওয়া হয় চন্দননগর থানায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। এরপর পুলিশ ও দমকল কর্মীর তত্ত্বাবধানে তাঁকে নামানোর ব্যবস্থা করা হয়।