গণনাতে কারচুপির আশঙ্কা, রাকেশকেও অপসারণের দাবি বিরোধীদের
এ বার পাঁচ দফায় বাংলায় ভোট হয়েছিল। প্রথম দু'দফায় ভোট শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু শেষ দুই দফায় অর্থাৎ ৭ এবং ১২ মে যথেচ্ছ অশান্তি হয়। সব ক্ষেত্রে অভিযোগের তির ছিল শাসক দলের দিকে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা কোনও ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ ছিল না। উপরন্তু ভোট কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুধীরকুমার রাকেশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। তিনি মুখে যা বলেছিলেন, তা কাজে করে দেখাতে পারেননি। বিরোধীরা তাই অভিযোগ করেন, শাসক দলের সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া হয়েছে সুধীরকুমার রাকেশের। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গণনায় কারচুপির আশঙ্কা করে ইতিমধ্যে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পতকে চিঠি দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এর কপি তিনি পাঠিয়েছেন সুধীরকুমার রাকেশ এবং মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্তাকে। সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, "শেষ তিন দফার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ বাধা দিয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, গণনার সময়ও ওরা গণ্ডগোল পাকাবে। এ ছাড়া গণনাকেন্দ্রে আমাদের যে এজেন্টরা থাকবে, তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থ করার দাবিও জানানো হয়েছে।"
একই বক্তব্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যেরও। তিনি জানান, "রাজ্যে অবাধ ভোট করাতে ব্যর্থ হয়েছে কমিশন। এবার গণনাতেও তারা কারচুপি করবে বলে খবর পেয়েছি। এ কাজে পুলিশ-প্রশাসন ওদের সাহায্য করবে। তাই আমাদের এজেন্টদের সতর্ক থাকতে বলেছি।" বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, "মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে আমরা বলেছি, গণনার সময় সুধীরকুমার রাকেশকে সরিয়ে দিতে হবে। কারণ ওঁর আচরণ সন্দেহ জাগাচ্ছে। ওঁর ব্যাপারে বিস্তারিক খোঁজখবর নিক নির্বাচন কমিশন।"