৩ জুলাই নয়, হঠাৎই পদত্যাগ করলেন এম কে নারায়ণন
প্রথমে খবর ছিল, ৩ জুলাই পদ ছাড়বেন তিনি। আর ৪ জুলাই দিল্লি ফিরে যাবেন। কিন্তু সোমবার সকালেই সিদ্ধান্ত নেন, সরতে যখন হবেই, তখন আর অপেক্ষা করে কী লাভ! রাজভবনের কর্মীদের জানিয়ে দেন সে কথা। তৎক্ষণাৎ তৈরি হয়ে যায় পদত্যাগপত্র। তার পর তা স্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দেন দিল্লিতে।
২০১০ সালের ২৪ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে বসেন এম কে নারায়ণন। ১৯৫৫ সালে আইপিএস পাশ করে কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘদিন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার পর ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) ডিরেক্টর হন। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বা ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার হিসাবে কাজ করেছেন। এর পর তাঁকে এ রাজ্যে রাজ্যপাল করে পাঠায় ইউপিএ সরকার।
এদিকে লোকসভা ভোটে জিতে এনডিএ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর পূর্বতন সরকার কর্তৃক নিযুক্ত রাজ্যপালদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। কয়েকটি রাজ্যের রাজ্যপাল স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। কিন্তু এম কে নারায়ণন অনড় ছিলেন। এর পরই আসে আঘাত! ৩৬০০ কোটি টাকার হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গত শুক্রবার জেরা করে সিবিআই। তারা এর আগে নারায়ণনকে জেরা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ইউপিএ সরকার অনুমতি দেয়নি। নরেন্দ্র মোদী দায়িত্ব নিয়েই সবুজ সঙ্কেত দেন। এই জেরার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়াতেই মনস্থির করেন এম কে নারায়ণন।
প্রশ্ন উঠেছে, এম কে নারায়ণন সরে দাঁড়ানোর পর কে এই পদে আসবেন? এখনও পর্যন্ত কারও নাম ঘোষণা করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে কয়েকটি নাম শীঘ্রই পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে। রাজনাথ সিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।