
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই ভোট গণনা, বিজয় মিছিল নিয়ে কোনও অশান্তি বরদাস্ত নয়
আর মাত্র কয়েকঘন্টার অপেক্ষা। এরপরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে রাজ্যের ১০৮ পুরসভাগুলি ঠিক কার হাতে যেতে চলেছে। তবে ইতিমধ্যে একাধিক পুরসভার দখল গিয়েছে শাসকদল তৃণমূলের কাছে। বাকি পুরসভাগুলিতে বিরোধীরা কোনও জায়গা করতে পারে কিনা সেটাও বড় চ্যালেঞ্জ।

কিন্তু পুরসভা নির্বাচনে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। যদিও আজ বুধবার পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও অশান্তি বরদাস্থ হবে না।
অন্যদিকে গণনা কেন্দ্রগুলির বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশের তরফে। একেবারে ত্রিস্তরিয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাঠিধারী পুলিশ থেকে কমব্যাট ফোর্স থাকছেন। রয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। প্রত্যেক গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। গণনা কেন্দ্রের মধ্যে পেন এবং কাগজ ছাড়া কিছুই রাখা যাবে না।
তবে সংবাদমাধ্যমের জন্যে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে রিটার্নিং অফিসার ছাড়া আর কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।
ইতিমধ্যে প্রত্যেক গণনা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় জমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে প্রত্যেক ওয়ার্ডের শাসক-বিরোধী সমস্ত প্রার্থীরাও কেন্দ্রের মধ্যে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে অবৈধ জমায়েত সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে। তবে পুরসভা নির্বাচনগুলিতে যেভাবে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে সেখানে দাঁড়িয়ে গণনার দিনে অনেকে বেশি সতর্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
বিশেষ করে বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলে কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই মতো পুলিশকেও কড়া নির্দেশিকা রাজ্য কমিশনের।
জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজয় মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে তা সুশঠ ভাবে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিরোধীদের। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গাতে স্ট্রং রুমের সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। কিন্তু কমিশনের তরফে এহেন অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
Recommended Video

অন্যদিকে কমিশন সুত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হবে। তবে দুপুর ১২ টার মধ্যে ট্রেন্ড পরিস্কার হয়ে যাবে। দুই থেকে ১৮ রাউন্ডে গণনা হবে বলে রাজ্য কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য গত ২৭ তারিখ রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় নির্বাচন হয়। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় বাংলা জুড়ে। বিভিন্ন জায়গাতে বোমাবাজি থেকে শুরু করে গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটে।