পরিযায়ী শ্রমিকরাই মহারাষ্ট্র করোনার সেকেন্ড ওয়েভের জন্য দায়ী, অভিযোগ রাজ ঠাকরের
অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরাই মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের দ্রুত প্রসারের জন্য দায়ী। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিকের নতুন সংক্রমণের খবর মিলছে।
অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরাই মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের দ্রুত প্রসারের জন্য দায়ী। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিকের নতুন সংক্রমণের খবর মিলছে। যে রাজ্যগুলিতে শ্রমিকদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে, সেখানকার শ্রমিকরাই বাড়িয়ে তুলেছে সংক্রমণ। মঙ্গলবার এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "মহারাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে শিল্পোন্নত রাজ্য। অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রচুর শ্রমিক এ রাজ্যে আসেন। এই শ্রমিকরা যে জায়গা থেকে আসে সেখানে পর্যাপ্ত পরীক্ষার সুযোগের অভাব ছিল। গত বছর লকডাউন চলাকালীন আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম, পরিযায়ী কর্মীরা স্ব-স্ব রাজ্যে ফিরলে তাদের পরীক্ষা করা উচিত, তবে তা করা হয়নি। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে ভার্চুয়াল কথোপকথনের পরে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বলেন রাজ।
রাজ ঠাকরে বলেছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্রীড়াবিদদের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার এবং জিমনেসিয়ামগুলিকে সামাজিক দূরত্বের সাথে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। সোমবার রাত থেকে মহারাষ্ট্রে আরোপিত নতুন বিধিনিষেধের কথা বলতে গিয়ে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা বা এমএনএসের সভাপতি বলেন, এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে দু-তিন দিন সমস্ত দোকান খোলা রাখতে হবে।
রবিবার রাজ্য সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞাগুলি অনুসারে, প্রয়োজনীয় পরিষেবা দোকান, মেডিকেল শপ এবং মুদি দোকান বাদে অন্যান্য সমস্ত দোকান, বাজার এবং শপিংমল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে বন্ধ থাকবে। সরকার জানিয়েছে, উৎপাদন অনুমতি দেওয়া হবে তবে দোকানপাট নয়। দোকানগুলিকে যদি খোলা রাখতে না দেওয়া হয় তবে উৎপাদন কার্যক্রমকে অনুমতি দেওয়ার পিছনে যুক্তি কী? তা জিজ্ঞাসা করেন রাজ।
লকডাউন সময়ে জনগণের বিদ্যুৎ বিল মকুব করারও দাবি জানান তিনি। শিল্প উৎপাদন বন্ধ রয়েছে, অফিস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং অনেক লোক চাকরি হারাচ্ছেন- এমন পরিস্থিতিতে লোকেরা কেন বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবে? তিনি প্রশ্ন তোলেন। রাজ ঠাকরে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির সমস্ত শিক্ষার্থীকে প্রোমোশান দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন, যারা অফলাইন পরীক্ষায় অংশ নেবেন বলে মনে করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উচিত জনগণের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ের মতো বিষয়গুলি নিয়ে ব্যাংকগুলির সাথে আলোচনা করা। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনায় এমএনএস নেতা আরও বলেন যে, বিদ্যালয়গুলি অনলাইনে মোডে স্থানান্তরিত হওয়ায় স্কুলে অভিভাবকদের কাছ থেকে পুরো ফি নেওয়া উচিত নয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের পদত্যাগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে রাজ ঠাকরে বলেন, ফেব্রুয়ারিতে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির দক্ষিণ মুম্বাইয়ের বাসভবনের বাইরে বিস্ফোরকবাহী যানবাহন লাগানোর পেছনে ষড়যন্ত্রের মূল ইস্যু থেকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত নয়।