তৃণমূলও প্রার্থী দিতে পারেনি এমন জায়গাও তাহলে আছে! প্রার্থী স্থির করেন অন্য কেউ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় প্রসঙ্গে বেলপাহাড়ির উদাহারণ তুলে ধরে শুক্রবার একথা বলেন।
স্থানীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীদের জয় বড় ব্যাপার নয়। এটা একেবারেই সাধারণ ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় প্রসঙ্গে বেলপাহাড়ির উদাহারণ তুলে ধরে শুক্রবার একথা বলেন। তিনি বলেন, জঙ্গলমহলের এমন অনেক জায়গাও রয়েছে, যেখানে তৃণমূলকেও প্রার্থী দিতে দেয়নি গ্রামের মোড়লরা। মোড়লরাই ঠিক করেন কার দখলে থাকবে পঞ্চায়েত।
তাঁর কথায়, এ কথা মাথায় রাখতে হবে যে, পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় একেবারে নিচের স্তরে। একেবারে বুথ লেভেলের নির্বাচন এটা। পাড়ার নির্বাচন বলতে যা বোঝায়। সেখানে এ ধরনের ঘটনা একেবারেই স্বাভাবিক। আমাদেরও মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েতে কে দাঁড়াবে, তা স্থির করে দিয়েছেন গ্রামের মোড়লরাই।
শুধু জঙ্গলমহল নয়, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এমন ধরনের ঘটনা ঘটে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবকিছু রাজনৈতিকভাবে হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই নির্ণায়ক হয় স্থানীয় ইস্যু। বহু ক্ষেত্রে হিংসার পিছনে রাজনৈতিক কারণ থাকে না। তার বদলে স্থানীয় কারণ মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। বিরোধীরা সেটা বুঝতে পারেনি। বুঝতে হবে- এটাই পঞ্চায়েতের রীতি। পাড়ার ঝগড়া মুখ্য হয়ে ওঠে ভোট বাক্সেও। সেইসব ঘটনাতেও তৃণমূলকে জড়িয়ে কুৎসা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:বাংলার সম্মান ধুলোয় মিশোচ্ছে বিজেপি! দোসর হয়েছে কংগ্রেস-সিপিএমও, নিশানা মমতার]
এদিন বাংলাকে খাটো জোট বেঁধে বিরোধীরা খাটো করছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যের তিন বিরোধী দল সিপিএম, কংগ্রেস আর বিজেপি, যাদের জগাই, মাধাই আর বিধাই নাম দিয়েছিলাম, তারা একজোট হয়ে চক্রান্ত করছে। রাজনৈতিক স্বার্থে অসত্য ভাষণ দিচ্ছে। বাংলার প্রেস্টিজকে খাটো করছে। আজকের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস কীভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ৪৪ বছর পর প্রথম পঞ্চায়েত তৃণমূলের, নেতা-কর্মীদের আনন্দ-উল্লাস দেখুন ভিডিওয় ]
[আরও পড়ুন:ব্যাড ডেট এবং এনপিএ, সমাধান কি ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপ্টসি কোডেই ]