‘আমি সেটিং করি না, আমাকে সেটিং করতে আসে’! মোদী-মমতার সেটিং-তত্ত্বে সিপিএমকে জবাব
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেই বাংলায় বিরোধীরা আওয়াজ তুলতে শুরু করেন সেটিং তত্ত্ব নিয়ে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সেটিং তত্ত্ব নিয়ে মুখ খুললেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেই বাংলায় বিরোধীরা আওয়াজ তুলতে শুরু করেন সেটিং তত্ত্ব নিয়ে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সেটিং তত্ত্ব নিয়ে মুখ খুললেন। সেটিং-তত্ত্ব নিয়ে সিপিএমকে দিলেন মোক্ষম জবাব। তাঁর সাফ কথা, 'আমি কার সঙ্গে সেটিং করি না, সবাই আমার কাছে সেটিং করতে আসে'।
মোদী-মমতার সেটিং রয়েছে বলে সিপিএম অভিযোগ করে আসছে দীর্ঘদিন। সেই ধারা চলছে আজও। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি সফরে গেলেই সেই আওয়াজ তুলে দেয় সিপিএম। আর তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন মমতা। বলে দিলেন, আমি সেটিং করি না, আমি সেটিং করতে পারি না। তার কারণ ওটা আমার ধাতে সয় না। আমি সেটিং করলে অনেক কিছুই হয়ে যেত। সবাই আমার কাছে সেটিং করতে আসে
সিপিএম তথা বামেরা তো বটেই এমনকী হালে কংগ্রেসও মোদী-মমতার গোপন আঁতাত নিয়ে সরব হয়েছে। তা নিয়ে এদিন মমতা বলেন, যখনই রাজ্যের প্রাপ্য চাইতে বা কোনও সরকারি কর্মসূচিতে যাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, তখনই সিপিএম-কংগ্রেস সেটিং সেটিং বলে চেল্লিয়ে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা তৃণমূল-বিজেপির যোগসাজোশ নিয়ে নানা কথা হয়। বামেদের মূলত অভিযোগ, রাজ্যে কেন্দ্রীয় তদবন্তকারী সংস্থা সক্রিয় হলেই মমতা দিল্লি ছোটেন। মোদীর কাছে গিয়ে সেটিং করে আসেন।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে দিল্লি গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনদিন পর পর মোদী-মমতা সাক্ষাৎ হয়েছিল। একদিন বাংলরা দাবি-দাওয়া নিয়ে মোদীর বাসভবনে একান্ত সাক্ষাৎ করেছিলেন মমতা। বাকি দুদিন সরকারি অনুষ্ঠানে। তাতেই প্রচার হতে শুরু করে দিল মমতা দিল্লি গিয়েছেন মোদীর সঙ্গে সেটিং করতে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন সরব হন মমতা।
কিন্তু বিরোধীদের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মমতা এদিন বলেন, আমি রাজ্যের প্রাপ্য চাইতে গিয়েছিলাম, সেটাতে সেটিং বলে না। আমি ভিক্ষা চাইতেও যাইনি। নিজের প্রাপ্য চাইচে গিয়েছিলাম। চাইতে গিয়েছিলাম বাংলার মানুষের হকের টাকা। রাজ্যের প্রাপ্য চাইতে গেলে সেটা সেটিং কী করে হয়? অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন কী সেটিং সেটিং করে চিৎকার করেন আপনারা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সেটিং করি না, আমার সঙ্গে সবাই সেটিং করতে আসে। আমি সেটিং করতে পারি না। তাই তো আমার মাথা থেকে পা, চোখ, ব্রেন, এমন কোনও জায়গা নেই যে মার খাইনি। তিনি এদিন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকেও একহাত নেন। তিনি যে আদালতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন, তা নিয়ে সরব হন মমতা। কলকাতার মেয়র হিসেবেও তাঁর আমলে জল জমা নিয়ে কটাক্ষ করেন। উনি সেসময় কলকাতাতেই থাকতেন না বলেও অভিযোগ করেন।