শ্রীলঙ্কার থেকেও খারাপ অবস্থা! সুস্থ গণতন্ত্র রক্ষায় আলোচনায় বসার আবেদন মমতার
কার্যত শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের অর্থনীতি'র তুলনা করে বসলেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতার পরে সবথেকে বড় অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কায়। এই অবস্থায় মুখ খুললেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। শুধু তাই
কার্যত শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের অর্থনীতি'র তুলনা করে বসলেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতার পরে সবথেকে বড় অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কায়। এই অবস্থায় মুখ খুললেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। শুধু তাই নয়, এই অবস্থায় কেন্দ্রকে একহাত নিতেও ছাড়লেন না তিনি।
মমতা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। শ্রীলঙ্কার থেকেও খারাপ বলেও ব্যাখ্যা তাঁর। এই অবস্থায় আলোচনার প্রস্তাব দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়েও মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। বলেন, কোনও পরিকল্পন ছাড়াই দাম বৃদ্ধি করে চলেছে। উত্তরপ্রদেশের জয়ের পরেই সমস্ত কিছুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে দেশের মানুষকে রিটার্ন গিফট সরকার দিল বলেও আক্রমণ।
পাশাপাশি মমতা বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। শ্রীলঙ্কায় আজ মানুষ বিদ্রোহের পথে নেমেছে। ভারতের অর্থনীতির অবস্থা কিন্তু আরও খারাপ। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমি আমাদের দেশের তুলনা করি না। তবে পরিকল্পনা ছাড়াই যেভাবে চলছে তাতে বিপদ আসতে কতক্ষণ বলেও আশঙ্কা প্রকাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
অন্যদিকে পিএফ থেকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও আক্রমণ শানান তিনি। আর এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে মমতার পরামর্শ, বিরোধীদের জন্যে ইডি কিংবা সিবিআই না লাগিয়ে ভালো কিছু ভাবা উচিৎ। সুস্থ গণতন্ত্র গড়ে তোলার পক্ষেও জোড়াল সওয়াল রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।
পাশাপাশি রমজান মাসে ফল সহ অন্যান্য জিনিসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মমতাকে। তিনি সেখানে বলেন, যেখানে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে সেখানে অন্যান্য জিনিসের দাম তো বাড়বেই। পেট্রোপন্য পরিবহণের খরচ বাড়বে। আর সেই সুযোগে কেউ সুযোগ তো নেবেই বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
অন্যদিকে গরু এবং কয়লা পাচার নিয়েও কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উত্তরপ্রদেশ-মধ্য প্রদেশ সহ একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্য থেকে কয়লা এবং গরু আসছে। আর তা বাংলার উপর দিয়ে যাচ্ছে। আর এজণ্যে বাংলাকেই দোষারোপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বলেন, কয়লায় নজরদারি'র দায়িত্বে সিআরপিএফ। সীমান্তে দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। এখানে বাংলা কি করবে? প্রশ্ন মমতার। আর এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দিয়ে জানাচ্ছে সীমান্তগামী কোনও গাড়ি আটকানো যাবে না।
এদিন আরও একবার রাজ্যপালকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, সমান্তরাল সরকার চালানো হচ্ছে। রাজভবনে একাধিক বিল আটকে রয়েছে বলে আক্রমণ মমতার। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে রাইট টু ইনফরমেশন কমিটির চেয়ারম্যানের নামেও অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।