'আমি বারাণসী থেকে দাঁড়াতেই পারি, সেটা আমার ব্যাপার',ইঙ্গিতে মোদীকে কোন চ্য়ালেঞ্জ মমতার
'সাতে সাত, বিজেপি কুপোকাত'.. সাত দফা নির্বাচন প্রসঙ্গে এদিন এমন স্লোগান দিয়েই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'সাতে সাত, বিজেপি কুপোকাত'.. সাত দফা নির্বাচন প্রসঙ্গে এদিন এমন স্লোগান দিয়েই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি অমিত শাহ থেকে মোদীর বিরোধিতা তৃমমূল করছে বলেই বারবার বাংলাকে নিশানা করে অপমান করছে পদ্মশিবির। মোদী সরকারের আমলে অঘোষিত সুপার ইমার্জেন্সি চলছে বলেও এদিন তোপ দাগেন মমতা। তবে বাংলায় অর্থাৎ মমতার গড়ে বিজেপি আসন ছিনিয়ে নিতে এলে হাল কী হতে পারে, তা নিয়ে মুখ খুলে কার্যত বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ভয় দেখিয়ে লাভ নেই!
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাবি করেন, বিজেপি প্রচুর টাকা নির্বাচনের জন্য খরচ করছে , যে বিষয়টি নিয়ে নজর দেওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের। কখনও এজেন্সি কখনও বা চার্টার্ড বিমান, হেলিকপ্টারের মাধ্যমে টাকার আদানপ্রদান হচ্ছে বলেও এদিন দাবি করেন মমতা। পাশাপাশি, তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
'মেয়াদ ফুরিয়েছে ঘরে গিয়ে ঘুমোন'
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা ফের একবার দাবি করেন যে বিজেপি তাঁকে ও তাঁর সরকারকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তৃণমূলনেত্রী জানান, বিজেপি সরকারের মেয়াদ ফুরিয়েছে, 'এবার ঘরে গিয়ে ঘুমোন , দেশকে বাঁচতে দিন।' মমতার দাবি ফের একবার বিজেপি সরকার আসলে সাংবিদানিক সংকট তৈরি হবে দেশে।
ভোট রণাঙ্গণে কোন কেন্দ্রের ইঙ্গিত?
এদিন মমতা সাফ জানান, যদি বাংলার কোথাও মোদী প্রার্থী হিসাবে লড়তে আসেন, তাহলে একটিতেও ভোটে জিততে পারবেন না । এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, চাইলে যে কেউই বাংলায় লড়তে আসতে পারেন, সেটা তাঁদের গণতান্ত্রিক বিষয়। তবে ৪২ টি আসন তৃণমূলই পাবে। পাশাপাশি কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাইলে তিনিও বারাণসী কেন্দ্র থেকে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে দাঁড়াতে পারেন। তিনি বলেন, 'চাইলে বারাণসী থেকে লড়তে পারি, তবে সেটা আমার ব্যাপার।' উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই বারাণসী কেন্দ্রে মমতার ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে জল্পনা চলছিল। এদিন সেই জল্পনাকেই খানিকটা উস্কে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে।