
বিজেপির হোমওয়ার্ক নেই, দলের বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে বিস্ফোরক জয়ের মুখে মমতার প্রশংসা
জুন মাসে মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে অগাস্টে ফের বিজেপির (bjp) পরিষদীয় দলে ভাঙন। বিজেপির আসন সংখ্যা ৭৭ থেকে কমে ৭৩। যা নিয়ে এদিন দলের নেতৃত্বের সমালোচনা করলেন অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (joy banerjee)। পাশাপাশি এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) প্রশংসা করেছেন।

বিজেপির হোম ওয়ার্ক নিয়ে প্রশ্ন
এদিন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আবারও প্রমাণিত হল বিজেপির কোনও হোম ওয়ার্ক নেই। এসম্পর্কে কোনও ধারনাও নেই। দলের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তন্ময় ঘোষ তো তৃণমূলেই ছিলেন। ভোটের আগে তাঁকে বিজেপিতে নেওয়া হল, পরে তাঁকে প্রার্থীও করা হল। জিতেও গেলেন আর তারপর সাড়ে তিনমাসের মধ্যেই ডিগবাজি খেলেন তিনি।
রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, এখানকার নেতারা তোষামোদ ছাড়া কিছুই বোঝেন না, দলের দায়িত্ব অযোগ্য নেতাদের হাতে রয়েছে বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলে যোগ্য নেতাদের খুঁজে বের করার দাবিও তিনি এদিন করেছেন।

সৌমিত্র খাঁকে খোঁচা
এদিন বিধায়কের দলবদল নিয়ে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে খোঁচা দেন। তিনি বলেন, বিষ্ণুপুরে দলের এক নেতা আছেন, তিনি সব দলেই ঘুরে এসেছেন। ওনার অগাধ জ্ঞান। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন ইনি কি কোনও ধারনাই করতে পারেননি, যে এমনটা হতে পারে। প্রসঙ্গত সৌমিত্র খাঁ ২০১৮-র শেষের দিকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তৃণমূলে ছিলেন। তার আগে তিনি ছিলেন কংগ্রেসে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা
এদিন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভোটের আগে যখন শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিয়ে অযোগ্য নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, সেই সময় কড়া হাতে পরিস্থিতির সামাল দিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন বিজেপিতে মনে রাখতে হবে, দলের কোনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই।

শ্যামাপ্রসাদের গ্রেফতারির পরেই পুরনো দলে ফিরলেন নেতা
জেলা বিজেপি সূত্রে খবর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পরেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন বাঁকুড়া শহরের নামকরা ব্যবসায়ী তন্ময় ঘোষ। এলাকায় তাঁর ভাল পরিচিতি ছিল তৃণমূলের নেতা হিসেবে। তিনি আন্দাজ করেছিলেন দলে থাকলে টিকিট পাবেন না। ভোটের আগে যে সময় তৃণমূল ছাড়ার প্রতিযোগিতা চলছিল সেই সময় বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। বিজেপি তাঁকে বিষ্ণুপুরে প্রার্থী করলে প্রভাবশালী নেতা শুভাশিস বটব্যালকে হারিয়ে জয়ী হন তিনি।