প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মানুষের আরও কাছে পৌঁছে যেতে চাইছে ভারতীয় রেল
রেলের বুকিং কাউন্টারে লোক নিয়োগ করার চেয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে সাধারণ মানুষ যাতে রেলের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যাবহার করে টিকিট কাটে তার দিকে বেশি নজর দিতে চাইছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলের বুকিং কাউন্টারে লোক নিয়োগ করার চেয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে সাধারণ মানুষ যাতে রেলের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যাবহার করে টিকিট কাটে তার দিকে বেশি নজর দিতে চাইছে রেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার খড়গপুরে রেলওয়ে ওয়ার্কসপে বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করতে এসে এই কথা বললেন দক্ষিণ পূর্ব রেল -র জেনারেল ম্যানেজার ললিত চন্দ্র ত্রিবেদী।
রেল সব সময় চেষ্টা করে যাত্রীদের উচ্চ স্তরের সুবিধা দেওয়ার জন্য, বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিন এই ওয়ার্কসপের বিভিন্ন স্থান ও কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। বৈঠক করেন আধিকারিক ও এই ওয়ার্কসপের কর্মীদের ইউনিয়নগুলির সাথে। হাওড়া থেকে ভাস্কো দা গামা স্টেশন পর্যন্ত যে ট্রেন চলাচল করে সেখানে উন্নত সুবিধাযুক্ত নতুন রেকের উদ্বোধন করেন তিনি। খুব তাড়াতাড়ি এই নতুন রেক নিয়ে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে দেবে।
রেল যে UTS Apps নিয়ে এসেছে সেটা যাতে সাধারণ মানুষ আরো বেশি ব্যবহার করে টিকিট কাটে তার দিকে বেশি নজর দিতে চাইছে রেল। এখন রেলের বুকিং কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটতে হলে যাত্রী দের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হয়। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিকিট কাটলে সময় নষ্ট হয় না। রেলের এই শীর্ষ আধিকারিক বলেন যে যারা এই UTS Apps ব্যবহার করে টিকিট কাটবেন তারা যেমন সময় বাঁচাতে পারবেন তেমনই তাদের ৫ শতাংশ টাকা সাশ্রয় হবে।
তবে বেশ কিছু জায়গায় এই অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট কাটতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে কারণ কিছু জায়গায় ' ডার্ক প্যাচ' আছে বলে স্বীকার করে ললিত চন্দ্র ত্রিবেদী জানান এই সমস্যার সমাধান করার উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সিগন্যাল ব্যবস্থা উন্নত মানের করা ছাড়াও রেল লাইন উন্নত মানের করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এর সাথে খড়গপুর হাওড়া শাখায় ট্রেনের গতিবেগ যাতে ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার করা হয় তার চেষ্টা চলছে। " আমরা আরো বেশ কয়েকটি নতুন সিস্টেম ব্যবহার করতে চলেছি যাতে যাত্রীদের আরো বেশি সুবিধা হয়" বলে জানান দক্ষিণ পূর্ব রেল-র জেনারেল ম্যানেজার।