গম চাষে নিষেধাজ্ঞা উঠল মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায়
ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের জেরে বছর দুই আগে গম চাষে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বাংলাদেশ সীমান্তে মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায়
ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের জেরে বছর দুই আগে গম চাষে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বাংলাদেশ সীমান্তে মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায়। এই বছর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গম চাষ করতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এই দুই জেলার চাষীদের । এই বার থেকে এই এলাকায় ফের গম চাষ করতে পারবেন চাষীরা।
তবে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, গম চাষ করতে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও তারা নিজেরা চাষীদের গম চাষ করতে উত্সাহিত করবেন না। বরং ভুট্টা, সরষে, ডাল চাষে উৎসাহিত করবেন। "তবে চাষীরা চাইলে গম চাষ করতে পারবেন। আমরা তাতে বাধা দেব না। আমরা তাদের ভুট্টা, সরষে চাষ করতে উৎসাহ দেব। দপ্তরের থেকে তাদের এই শস্য বীজ দেওয়া হবে," বলে জানিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষি দপ্তরের আধিকারিক তাপস কুন্ডু।
বছর দুই আগে গম গাছে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ দেখা যায় বাংলাদেশ সীমান্তে মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায়। গাছ মরে যায়। সেই গম গাছ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় গম চাষে। সেই সময়ে মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় আশি হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হত।
কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা চাষীদের গমের পরিবর্তে সরষে, ভুট্টা, ডাল চাষে উত্সাহিত করেন চাষীদের । কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা দাবি করেন যে এর ফলে এই এলাকায় ডাল, ভুট্টা, সরষে ইত্যাদির চাষ বেড়েছে। কিন্তু চাষীরা জানিয়েছেন যে ডাল চাষ করে তারা লাভ করতে পারেনি। এর থেকে গম চাষে লাভ বেশি।
কৃষি দপ্তর চাষীদের গম চাষ করতে উত্সাহ না দিলেও এই বছর গম চাষে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর অনেক চাষীই গম চাষ করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন।