নির্বিঘ্নেই বারাসতের সমাবর্তন, খুশি রাজ্যপাল
নির্বিঘ্নেই বারাসতের সমাবর্তন, খুশি রাজ্যপাল
বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবের অভিজ্ঞতা কলকাতা বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত হয়নি । এখানে ভাষণ দিতে পারলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য । তার ভাষণ রাখার সময়ে কোথাও কোনও রকম বাধা দেওয়া না হওয়ায় নিজের খুশি ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল ।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন উৎসবে যোগদান করতে মঙ্গলবার সকালে বারাসাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের । সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভাষণে রাজ্যপাল শিক্ষার আলোচনা করতে গিয়ে দেশ ও রাজ্য রাজনীতির আলোচনা থেকে বিরত থাকেননি । সমাবর্তন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী ও ইন্ডিয়ান স্ট্যটিসটিকাল ইনস্টিটিউটের ভাটনগর পুরস্কার প্রাপ্ত সংঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায় ।
এদিন সমাবর্তন উৎসবে নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর প্রথমেই বিশেষ অতিথির সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন । এরপরে তিনি বেকারত্ব নিয়ে তাঁর চিন্তা ব্যক্ত করেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বক্তব্যেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে তার বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্যের কথা উঠে আসে । এই মতানৈক্য বা বিরোধ তিনি চান না বলে রাজ্যর সঙ্গে একযোগে কাজকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেন । রাজ্যপাল এদিন আবার সংস্কৃতির পীঠস্থান এই রাজ্যে হিংসার কথা উল্লেখ করেন । মঞ্চে তাঁর সমাবর্তন উৎসবের ভাষণেই উল্লেখ করেন রাজ্যে হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন । তবে ছাত্রদের সাতটি উপদেশ দেওয়ার ফাঁকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সুখ্যাতি করেন । তিনি বলেন যে তিনি বারাসতে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগে সন্দিহান ছিলেন আদৌ বক্তব্য পেশ করতে পারবেন কিনা । তিনি মঞ্চেই জানান এনিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথাও হয় । তিনি ভাবিত ছিলেন কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এখানেও বক্তব্য পেশ করতে বাধা পেতে পারেন । স্বাভাবিকভাবেই আচার্য্যর ভাষণ সমাপ্ত করতে পেরে তিনি যে খুশী তা তিনি নিজেই বলেন ।
এরপরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসে অন্যদিনের মত সমালোচনা মুখর ছিলেন না । খোলামেলা ভাবে রাজ্য পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন নি । শিক্ষার বৃত্ত থেকে না বেরিয়ে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে জানিয়ে নিজের প্রসন্নতা ব্যক্ত করেন ।