দাবি দাওয়া শুনতে এবার যাদবপুরের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব রাজ্যপালের
দাবি দাওয়া শুনতে এবার যাদবপুরের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব রাজ্যপালের
দায়িত্ব গ্রহণের পরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে একাধিকবার 'বিতর্কে’ জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। কিছুদিন আগেই আসন্ন সমাবর্তনে ডিলিট প্রাপকদের নাম নির্ধারণকে করাকে কেন্দ্র করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কোর্ট বৈঠকে শিক্ষকদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়াতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও শিক্ষকদের দাবি দাবি দাওয়া শুনতে আলোচনার প্রস্তাব দিলেন রাজ্যপাল।
পাশাপাশি দীর্ঘদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ঠিক করে দেওয়া নতুন 'পে স্কেল’ অনুযায়ী অধ্যাপকদের বেতন দেওয়ার দাবিতে সরব হয় যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন ওরফে জুটা। ডাক দেওয়া হয় একাধিক মিছিল ও প্রতিবাদ সভারও। এবার যাদবপুরের শিক্ষক সংগঠনের করা দাবিকে মান্যতা দিয়ে তাকে 'বৈধ’ বলেও উল্লেখ করতে দেখা গেল রাজ্যপালকে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জুটার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনায় বাসার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় বলেন, ' রাজ্যপাল তাকে জানান তিনি সংবাদপত্র মারফত জানতে পেরেছেন যাদবপুরের শিক্ষকদের নতুন পে স্কেল অনুযায়ী বেতন দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নতুন বেতন-ক্রম ঠিক হলেও যে চারটি রাজ্যে তা এখনও বলবৎ করা হয়নি তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। এই বিষয়ে তিনি বর্তমানে আমাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।’
পাশাপাশি অনেকদিন আগেই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হলেও কেন্দ্র সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে যাদবপুরকে 'সেন্টার অফ এমিনেন্স’ তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে বলেও এদিন জানান তিনি। একইসাথে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প আটকে রাখা হয়েছে বলেও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন জুটার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।
বিজেপি-সেনা আলোচনা বাতিল, ঝুলে রইল মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন
এদিকে গত শুক্রবার এই নতুন বেতন-ক্রম ধার্য করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন জুটার প্রতিনিধিরা। প্রায় দুবছর আগে এই নতুন বেতন-ক্রম ঠিক হলেও এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ ঠিক না করায় আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে জুটার তরফ থেকে। অন্যদিকে কয়েকদিন আগেই যেখানে যাদবপুরের শিক্ষকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে 'বিড়ম্বনায়’ পড়েছিলেন রাজ্যপাল বর্তমানে তাদের পাশে দাঁড়ানোয় অন্য রাজনৈতিক সমীকরণের গন্ধ পাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।