পাক গোলায় নিহত জওয়ান সুবোধের মৃত্যুতে সমাবেদনা রাজ্যপালের, পরিবারের পাশে তেহট্টের বিধায়ক
পাক গোলায় নিহত জওয়ান সুবোধের মৃত্যুতে সমাবেদনা রাজ্যপালের, পরিবারের পাশে তেহট্টের বিধায়ক
পাকিস্তানের রোষের মুখে পড়ে দীপাবলির আগে উৎসবের আবহেই আঁধার নেমে আসে তেহট্টে। গত শুক্রবার সকাল থেকে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চার সেক্টরে বিনা প্ররোচণায় গুলি চালাতে দেখা যায় পাক সেনাকে। যাতেই মৃত্যু হয় বাংলা তথা নদীয়ার তেহট্টের সেনা জওয়ান সুবোধ ঘোষের। এবার তার মৃত্যুতেই সমবেদনা জানাতে দেখা গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে।
সুবোধের পরিবারের পাশে তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশংকর দত্ত
এদিকে সুবোধ ছাড়াও পাক সেনার গুলিতে আরও চার ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়। মারা যান নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া গ্রামের আরও ৬ নাগরিকের। এদিকে ইতিমধ্যেই সুবোধের মরদহে শেষবার দেখার জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন তার তেহট্টের রঘুনাথপুরের পরিজন-প্রতিবেশীরা। এর মধ্যে সুবোধের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশংকর দত্ত। শবিনার তিনি সুবোধের বাড়িতেও যান বলে খবর।
সুবোধ ঘোষের বীরত্বকে কুর্নিশ রাজ্যপালের
এদিকে রবিবার সকালে একটি টুইটবার্তায় শহিদ সুবোধ ঘোষের বীরত্বকে কুর্নিশ জানাতে দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। পাশাপাশি ওই টুইটেই সুবোধের পরিবারকে সমবেদনাও জানান তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই টুইট বার্তাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের টুইটার হ্যান্ডেলকে ট্যাগও করেন তিনি।
কড়া প্রতিক্রিয়া দেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীও
এদিকে গৌরীশংকর দত্ত ছাড়াও গত দুদিন ধরেই সুবোধের বাড়িতে ভিড় করতে দেখা যায় তাবড় তাবড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। এমনকী পাক সেনার ছোঁড়া গুলিতে বাঙালী জওয়ানের মৃত্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়াও জানাতে দেখা কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও। এমনকী এই জঘন্য কাজের ভারতের তরফে পাল্টা প্রত্যাঘাতেরও দাবিও তোলেন তিনি।
শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ আসে মৃত্যু সংবাদ
এদিকে শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ বছর চব্বিশের সুবোধের বাড়িতে গ্রামের ছেলের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে আসে তেহট্টের রঘুনাথপুরে। খুব মেধাবী না হলেও ছোট থেকে পড়াশোনায় ভালই ছিলেন সুবোধ। নিজের যোগ্যতায় বেশ কম বয়সেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। কিন্তু বর্তমানে তারই মৃত্যু সংবাদ যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার-পরিজনেরা।
বাঙালির কাছে 'অপু' হয়ে ওঠার জন্য সৌমিত্রকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল তিন বছর