তিনদিন পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে, ব্যারাকপুরের বিলকান্দার শিল্পতালুকে কারখানায় ৪ জনের দেহের সন্ধান
বিলকান্দায় আগুন (fire) এদিন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত তিনদিন ধরে আগুন নেভানোর কাজে ১৫ টি ইঞ্জিন কাজ চালিয়ে আসছিল। এখনও সেখানে পকেট ফায়ার রয়েছে। এদিন কারখানার ভিতর থেকে ৪ জনের দেহে (body) খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ভিতর
ব্যারাকপুরের বিলকান্দায় আগুন (fire) এদিন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত তিনদিন ধরে আগুন নেভানোর কাজে ১৫ টি ইঞ্জিন কাজ চালিয়ে আসছিল। এখনও সেখানে পকেট ফায়ার রয়েছে। এদিন কারখানার ভিতর থেকে ৪ জনের দেহে (body) খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ভিতরে ঢোকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
আগুন লেগেছিল বুধবার গভীর রাতে
বুধবার গভীর রাতে নিউ ব্যারাকপুরের বিলকান্দার শিল্পতালুকের এক গেঞ্জি কারখানায় প্রথমে আগুন লাগে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের একাধিক গুদাম এবং কারখানায়। প্রথমে ছটি, পরে সব মিলিয়ে দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন সেই থেকে আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে রোবট এবং জেসিবি মেশিনও নামানো হয়েছিল। যদিও সেই আগুন নেভাতে গিয়ে বেগ পেতে হয়েছিল দমকল বিভাগকে। বৃহস্পতিবার সেখানে দীর্ঘক্ষণ আগুন নেভানোর কাজে তদারকি করতে দেখা গিয়েছিল দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে।
এদিন সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে
এদিন সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকল বাহিনী। সেখানে আগে থেকেই মজুত ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে জেসিবি মেশিন দিয়ে কারখানার দেওয়ালও ভাঙা হয়েছিল। কিন্তু একদিকে যেমন গেঞ্জি কারখানার মধ্যে প্রচুর গেঞ্জি তৈরির কাঁচামাল মজুত ছিল, অন্যদিকে পাশেই বেসরকারি হাসপাতালের গুদামে বেবিফুড, ডায়াপার এবং স্যানিটাইজার মজুত ছিল। এইসব দাহ্যবস্তুর কারণে আগুন নেভাতে যেমন দেরি হচ্ছিল অন্যদিকে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে সমস্যাও পড়েছিলেন দমকলকর্মীরা।
নিখোঁজ ছিলেন ৪ কর্মী
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই গেঞ্জি কারখানারই চার কর্মী। তাঁরা হলেন, অমিত সেন, স্বরূপ ঘোষ, তন্ময় ঘোষ। তাঁদের কারও সাইকেল এবং মোটর সাইকেল কারখানার বাইরে থাকলেও সেগুলিও পুড়ে গিয়েছিল আগুনের লেলিহান শিখায়। তাঁদের মোবাইলেই সুইচও ছিল অফ। গভীর উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। যখন রাজ্য সরকারের তরফে লকডাউনের কথা বলা হয়েছিল, সেই সময় কী করে এই কারখানায় কা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআরও করেছিলেন তাঁরা।
৪ টি দেহের খোঁজ
এদিন সকালে চারটি দেহেরই খোঁজ পান বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। গেঞ্জি কারখানার তিনতলা বাড়ির দোতলায় একটি ঘরে একইসঙ্গে চারটি দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। আগুন নিভে গেলেও প্রচুর তাপ থাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে দেহ উদ্ধারে দেরি হয়। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিয়ে সেখান থেকে দেহগুলি উদ্ধার করে আনেন। পুলিশের তরফে প্রত্যের পরিবারের একজনকে নিয়ে দেহ শনাক্ত করণের প্রক্রিয়া চালানো হয়। পোশাক কিংবা দেহের কোনও দাগ থেকে সেই দেহ শনাক্তকরণের চেষ্টাও করেন।
মুম্বইয়ে পেট্রোল সেঞ্চুরি পার, বিভিন্ন শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম একনজরে