খাদ্য সাথী প্রকল্প ৮.৫ কোটি মানুষের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে : মমতা
চলতি বছরেই বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে যেখানে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের থেকে পিছিয়ে ১০২তম স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত, ঠিক সেই সময়ে দাঁড়িয়ে রাজ্যের দারিদ্রদূরীকরণ নিয়ে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলতি বছরেই বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে যেখানে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের থেকে পিছিয়ে ১০২তম স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত, ঠিক সেই সময়ে দাঁড়িয়ে রাজ্যের দারিদ্রদূরীকরণ নিয়ে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস উপলক্ষে এক টুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, " আজ আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস। বাংলার সরকার দারিদ্র দূরীকরণ, বেকারত্ব হ্রাস, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, এবং মানবাধিকার রক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।" প্রসঙ্গত রাজ্যের দারিদ্র দূরীকরণের জন্য 'খাদ্য সাথীর' মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পও ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে মমতা ব্যানার্জীর সরকার।
বিশ্ব খাদ্য দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক টুইটার বার্তায় দাবি করেন যে 'খাদ্য সাথী' প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ৮.৫ কোটি মানুষের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পেরেছে বর্তমান সরকার। কিন্তু এর পরই তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবিরের একাংশ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য নির্মূল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ১৯৮৭ সালে ১৭ই অক্টোবর দিনটিকে 'আন্তর্জাতিক দরিদ্র দূরীকরণ' দিবস হিসেবে চিহ্নিত করে। দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচার অভিযান চালানোর উদ্দেশ্যেই মূলত আজ থেকে প্রায় তিন দশক আগে 'আন্তর্জাতিক দরিদ্র দূরীকরণ' দিবসের সূচনা করে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মতে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান দারিদ্রতার কারণে সাধারণ মানুষের খাদ্য বস্ত্র ও বাসস্থানের মতো মানবাধিকার গুলি ক্রমেই লঙ্ঘিত হচ্ছে। সাড়া বিশ্ব জুড়ে সাধারণ মানুষের এই অধিকারগুলি সুনিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমস্ত রাষ্ট্রগুলিকে একত্রিত হওয়ার ডাকও দেয় জাতিসংঘ।