রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে টাকির ইচ্ছামতীতে ডুবন্ত ভাসমান রেস্তোরা
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে টাকির ইচ্ছামতীতে ডুবন্ত ভাসমান রেস্তোরা
এ যেন শুরুতেই শেষ। চার বছর আগে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পর্যটন কেন্দ্র টাকি ইচ্ছামতীর বুকে ভাসমান রেস্তোরা বা ফ্লোটেল। পাঁচ বছর পেরোলেও চালু হলো না ইছামতির বুকে ভাসমান রেস্তোরা। শনিবার বুলবুলের ঝাপটায় শেষ পর্যন্ত ইছামতির বুকে ডুবে গেল ভাসমান রেস্তোরা।
বসিরহাট মহকুমার টাকি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ইতিমধ্যে রাজ্য তথা দেশের পর্যটনের মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নিয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে এপার বাংলা ওপার বাংলার মিলনক্ষেত্র দেখতে বহু পর্যটক বছরের বিভিন্ন সময় ভিড়় জমান। সেই সূত্রেই রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে টাকির উল্লেখযোগ্য জায়গা রয়েছে। সেখানেই স্থানীয় পৌরসভার উদ্যোগে পাঁচ বছর আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাসমান রেস্তোরা তৈরি উদ্যোগ নেওয়া হয়। টাকি পর্যটন কেন্দ্রের নতুন সংযোজন ছিল এই ভাসমান রেস্তোরা।
ইছামতি নদীর উপরে এই প্রোজেক্টের জন্য় রাজ্য সরকার প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল । প্রাথমিকভাবে ৩৫ থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। ঠিকাদারকে দিয়ে সিংহভাগ কাজের পর রেস্তোরা পুরোপুরি তৈরি হয়েও গিয়েছিল। বহুল অর্থ ব্যয়ের পর যদিও শেষ পর্যন্ত অবশ্য চালু হওয়ার আগেই ভেসে গেল ভাসমান রেস্তোরা । কয়েকমাসের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ করার কথা থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা আজ ইছামতি নদী তলায় ডুবল।
শুরুতে মিনি সুন্দরবন, গোলপাতার জঙ্গল সহ একাধিক প্রকল্প প্রশাসনের গাফিলতিতে ও পৌরসভার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে টাকি পর্যটন কেন্দ্রের নতুন সংযোগ ছিল এই ভাসমান রেস্তোরা। এই প্রোজেক্ট টাকি পর্যটন কেন্দ্রের মানচিত্রের নতুন পালক সংযোজন করেছিল বলা চলে। একদিকে বুলবুলের দাপট অন্যদিকে দুই বাংলার মাঝের ইচ্ছামতী নদীর উপর ভাসমান রেস্তোরা নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় হতাশ পর্যটক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।