বিজেপির বি-টিম আইএসএফ! ‘ভোটকাটুয়া’ মিমের সঙ্গে নৌশাদের তুলনায় বিস্ফোরক ফিরহাদ
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে নৌশাদ সিদ্দিকীর অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার উৎস আর বিজেপি নেতার সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ফিরহাদ।
হায়দরাবাদ থেকে ভোট কাটতে আসতেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাই মিমকে বলা হত ভোটকাটুয়া। কিন্তু বাংলাতেই যে একটা ভোটকাটুয়া পার্টি গজিয়ে উঠেছে, তার প্রমাণ মিলল এবার। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকীকে নিশানা করে গর্জে উঠলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
টাকার উৎস আর হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটে নজর
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নৌশাদ সিদ্দিকীকে নিশানা করে তিনি বলেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোথা থেকে নৌশাদ সিদ্দিকীর অ্যাকাউন্টে ওত টাকা এল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। আর কেনই বা বিজেপি নেতার সঙ্গে তাঁর হোয়াটস অ্যাপ চাট, তা খতিয়ে দেখা দরকার।
মিমের মতোই বাংলায় গজিয়ে উঠেছে আইএসএফ
ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, দুটি বিষয় খতিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বিষয়টি। এই তথ্য সামনে এনে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম ও কুণাল ঘোষ। ফিরহাদ হাকিম তো মিমের জায়গায় বসিয়ে দেন আইএসএফকে। তিনি বলেন, মিম যেমন রাজ্য রাজ্যে ঘুরে ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা করে দেয়, তেমনই বাংলায় গজিয়ে উঠেছে আইএসএফ।
ভোটকাটুয়া আইএসএফ বিজেপির বি-টিম!
ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে নৌশাদ সিদ্দিকীর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে রাশি রাশি টাকা। ওই টাকার উৎস কী, কোথা থেকে এল ওই টাকা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিযেই কি বাংলার ভোটকাটুয়া পার্টি হয়ে ওঠে আইএসএফ। বিজেপির বি-টিমে পরিণত হয়?
বিজেপি ও নৌশাদ সিদ্দিকীর হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট প্রশ্নে
এই প্রশ্নের মধ্যেই জল্পনা বাড়িয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি নেতার সঙ্গে নৌশাদ সিদ্দিকীর হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট কেন? কী এমন কথা হয়েছিল তাদের মধ্যে, এসব খতিয়ে দেখতে হবে। উল্লেখ্য, এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় রাজনৈতিক দল হিসেবে গজিয়ে ওঠে আইএসএফ। আব্বাস সিদ্দিকীর এই দল বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট করে ভাঙড় আসনে জয়ী হয়।
জেল হেফাজতে পাঠানোর পর ফের বারুইপুর আদালতে পেশ
সম্প্রতি ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকীকে পুলিশ গ্রেফতার করে ধর্মতলায় বিক্ষোভ অবস্থান ও অশান্তি ছড়ানোর ঘটনা। এছাড়া তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা ও পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুদিন আগে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর পর এদিন ফের বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়।
পঞ্চায়েত ভোটে হারের ভয়ে তাঁকে আটকে রাখার চেষ্টা
বারুইপুর আদালতে পেশের পর ফের পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তারপর তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে হারের ভয়ে তাঁকে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক চক্রান্ত। নিজেদের ভোট-ব্যাংক হারানোর ভয়েই এটা করা হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলার শাসক দল চক্রান্ত করে তাঁকে আটকে রাখছে। কিন্তু তাদের লড়াই জারি থাকবে। গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই অটুট থাকবে।
তৃণমূলে নয়া অভিযান, পঞ্চায়েতের আগে জনসংযোগ গড়তে শুরু 'অঞ্চলে একদিন’ কর্মসূচি