জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে প্রবেশের বিধিনিষেধ উঠে গেল
জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে প্রবেশের বিধিনিষেধ উঠে গেল
করোনা পরিস্থিতিতে বনদফতর নিয়ম করেছিল ১০ বছরের নীচে শিশু এবং ৬৫ বছরের উপরে বয়স্করা জঙ্গলে ঢুকতে পারবে না। এবার থেকে আর কোন বয়সের বিধিনিষেধ থাকছে না জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণে।
উঠে গেল বয়সের বিধিনিষেধ। এবার যেখানে অবাধ প্রবেশের অনুমতি থাকছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণের ক্ষেত্রে। ১০ বছরের নীচে শিশু এবং ৬৫ বছরের উপরে বয়স্কদের জঙ্গলে প্রবেশের যে বিধিনিষেধ জারি ছিল, এই বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে বনদপ্তর এর তরফে।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে এই জাতীয় উদ্যান ভ্রমণে বয়সের বিধিনিষেধ ছিল। সেই বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটকদের অবশ্যই কোভিড প্রোটোকল মেনে জঙ্গলে ভ্রমণ করতে হবে।
বয়সের এই বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় পর্যটক ও পর্যটন মহলে এখন খুশির হাওয়া বইছে। আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনে সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, আমরা বনদপ্তরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। বয়সের বিধিনিষেধের কারণে জঙ্গল ভ্রমণে অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন। এবার সব বয়সের মানুষরা জঙ্গলে বেড়াতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, কোভিড প্রটোকল মেনে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খুললেও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ১০ বছরের নীচে শিশু ও ৬৫ বছরের উপরে থাকা বয়স্কদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়। এই বিধিনিষেধে হতাশ হয়ে পড়েন পর্যটকরা। বাড়িতে বাচ্চাকে রেখে অনেকেই জঙ্গল বেড়ানোর উৎসাহে অনীহা দেখাচ্ছিলেন। পর্যটন ব্যবসায়ীরাও এই বিধিনিষেধে ক্ষুব্ধ হন। এবার বয়সের সীমা উঠে যাওয়ায় পুজোর মুখে সব মহলেই খুশির হাওয়া।
সন্দেশখালি বিজেপিতে বড় ভাঙন, দলে দলে যোগ তৃণমূলে