
মনোনয়ন জমা দিতে বাধা! যুব মোর্চা রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার
আগামী ২৭ তারিখ রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় পুরনির্বাচন। আর এর আগেই উত্তেজনা বাংলা জুড়ে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। আর তা ঘিরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে জেলার সর্বত্র। উত্তর থেকে দক্ষিণ একাধিক জায়গাতে বিরোধী প্রার্থীদের আটকে রাখার অভিযোগ।

আর এই অভিযোগেই এদিন দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের বাইরে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সব জেনে বুঝেও চুপ করে আছে কমিশন।
দিনহাটা, সাইথিয়া সহ রাজ্যের একাধিক পুরসভাতে জয়জয়কার শাসকদলের। ভোটের আগেই জয়। বিজেপির দাবি, বুধবার বিভিন্ন জায়গাতে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। কোথাও ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা হয় তো কোথায় প্রার্থীদের বাড়ি থেকে বের হতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি পুলিশ প্রশাসনের তরফেও ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলত অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি।
আর এই অবস্থায় বিজেপির যুব মোর্চার তরফে আজ বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। আর এই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই কর্মসূচি ঘিরে এদিন সকাল থেকেই কমিশনের বাইরে ব্যাপক পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে বিজেপির মিছিল পৌঁছালেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। আরতা ঘিরে কার্যত ধন্ধুমার কাণ্ড। একেবারে বিজেপি কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগ। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আটক করা হয় প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, কল্যাণ চৌবে সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপির অভিযোগ, পুরভোটে রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে শাসকদল। যদিও এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দাবি, কেন গতকাল এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হল না। যদিও পালটা বিজেপির দাবি, এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না দেখে এই কর্মসূচি নেওয়া বলে দাবি যুব মোর্চার।
এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বঙ্গ বিজেপির। এমনকি কমিশনের সামনে লাগাতার ধর্নায় বসারও হুঁশিয়ারি।
অন্যদিকে তৃণমূলের এই বিক্ষহ প্রসঙ্গে দাবি, বিজেপির লোক সঙ্গঠন বলে কিছু নেই। এক এক জায়গাতে প্রার্থীই তাঁরা দিতে পারেনি। ফলে বিক্ষোভ দেখানোর কোনও মানে নেই বলেই দাবি শাসকদলের। ইতিমধ্যে দিনহাটা পুরসভা বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে।