পুজোর আগেই কি বাংলায় লোকাল ট্রেন, নবান্নকে ফের রেলের চিঠিতে জল্পনা
পুজোর আগেই কি বাংলায় লোকাল ট্রেন, নবান্নকে ফের রেলের চিঠিতে জল্পনা
করোনার সংক্রমণ (coronavirus) দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি হওয়া সত্ত্বেও মহারাষ্ট্র সরকার লোকাল ট্রেন চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেও এব্যাপারে এখনও রাজি নয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু স্টেশনে স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনকে ঘিরে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। যা নিয়ে এদিন পূর্ব রেলের (Eastern rail) তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে (state govt) । এব্যাপারে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়েছে।
রেলের চিঠি রাজ্য সরকারকে
রাজ্য সরকার কবে থেকে শহরতলীর ট্রেন চালাতে চায়, তা জানতে চেয়ে নবান্নে চিঠি রেলের। এদিন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের তরফে রাজ্যের ডেপুটি চিফ সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রেলের সম্পত্তি নষ্ট করছে ক্ষিপ্ত জনত। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা জরুরি। আর চা ঠিক করতে হবে রেলের সঙ্গে বলেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রেলের চিঠিতে প্রশ্ন করা হয়েছে, কবে থেকে এবং কত ট্রেন চালাতে চায় রাজ্য সরকার।
রেলের ক্ষতি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২১ মার্চ থেকে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন, অন্যদিকে বড় ক্ষতির মুখে ভারতীয় রেল। রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিয়ালদহ ডিভিশনে লোকাল ট্রেন চালিয়ে রেলের বার্ষিক আয় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে হাওড়ায় তা ২২৮ কোটি টাকা। কিন্তু এবছরের মার্চের ২১ তারিখ থেকে রেলের কোনও আয় হয়নি।
লোকাল ট্রেন চালুর দাবি বিজেপির
লোকাল ট্রেন চালুর দাবি করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিন দুয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গে শহরতলীর ট্রেন চালাতে অনুরোধ করে রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। সেখানে তিনি বলেছিলেন, দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে মানুষের দুর্দশা বেড়েছে। পরবর্তী সময়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও একই দাবি তুলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাম কংগ্রেসের
মঙ্গলবার লোকাল ট্রেন চালুর দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন আব্দুল মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তী। স্বাস্থ্য বিধি মেনে যেভাবে মেট্রো চালু হয়েছে, ঠিক সেইভাবেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু করার দাবি করেছেন তাঁরা। এব্যাপারে রাজ্য সরকার যাতে রেলের সঙ্গে আলোচনায় বসে, তার জন্যও অনুরোধ করেন তাঁরা।
আপাতত রাজি নয় রাজ্য
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুজোর আগে লোকাল ট্রেন চালানো শুরু করতে আপাতত রাজি নয় নবান্ন। পুজোর পরেই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে প্রশাসনিক এবং বিশেষজ্ঞ মহল আশঙ্কা প্রকাশ করছে। ফলে পুজোর পর করোনার সংক্রমণ কতটা বাড়ে, সেদিকে নজর রেখেই ট্রেন চলাচল শুরু করতে চায় রাজ্য সরকার।
ঋতব্রতকে বড় দায়িত্বে মেনে নিতে আপত্তি, 'পরিযায়ী' বলে আক্রমণ তৃণমূল নেতার