সাঁতরাগাছি স্টেশনে পদপিষ্ট রেলের গাফিলতিতেই! পরক্ষণেই ‘ইউ-টার্ন’ নিয়ে পাশে মমতা
সাঁতরাগাছি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনার পরই রেলকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বিঁধেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অদ্যবধি পরেই একেবারে ইউ-টার্ন নিয়ে তিনি দিলেন রেলের পাশে থাকার বার্তা।
সাঁতরাগাছি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনার পরই রেলকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বিঁধেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। তবে অদ্যবধি পরেই একেবারে ইউ-টার্ন নিয়ে তিনি দিলেন রেলের পাশে থাকার বার্তা। বললেনস রেল যদি সাহায্য চায়, তবে সবরকম সাহায্য করবে রাজ্য।
দুর্গা কার্নিভালের অনুষ্ঠান থেকে সটান বেরিয়ে ঘটনাস্থল সাঁতরাগাছি স্টেশনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন। রেল বিবৃতি দেওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে রেলকে নিশানায় তিনি বলেন, এদিনের ঘটনার জন্য রেলের গাফিলতির দিকে আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগে থেকে সচেতন হল এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।
এরপর হাওড়া হাসপাতালে গিয়ে আহত যাত্রীদের দেখে আসেন তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখ হয়ে তিনি রেলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন। একেবারে ইউ টার্ন নিয়ে তিনি বলেন, আমি রেলকে দোষ দিচ্ছি না। তবে রেলের কিছু গাফিলতি ছিল। রেল যদি চায়, তাঁর সরকার সবরকম সাহায্য করবে।
এদিনের পদপিষ্টের ঘটনায় রেল জানায়, ঘটনাস্থলে তিনটি নয়, ছিল তিনটি ট্রেন। সাঁতরাগাছি স্টেশনে আসে ডাউন নাগেরকোয়েল শালিমার এক্সপ্রেস। এবং সাঁতরাগাছি থেকে ছাড়ার কথা ছিল আপ বিশাখাপত্তনম এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ যে সময় ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় ফুটব্রিজে অত্যধিক ভিড় ছিল।
একই সঙ্গে দুটি ট্রেন সেখানে চলে আসে। এবং ট্রেন ধরতে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। একটি ট্রেন থেকে যাত্রীরা নামতে থাকেন।আর একটি ট্রেনে যাত্রীরা ওঠার জন্য প্লাটফর্মে আসে। সেই সময় ফুটব্রিজে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে যায়। এদের প্রথমে সাঁতরাগাছি রেলওয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন:ট্রেন ধরার তাড়ায় পদপিষ্ট সাঁতরাগাছিতে, রেলের আগেই মমতার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা]
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতদের দেওয়া হবে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। রেলের তরফেও মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহতদের এক লক্ষ। কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়।
রেলের তরফে জানানো হয়, মোট ১২ জন জখম হয়েছেন এই পদপিস্টের ঘটনা। তাঁরা হলেন, গৌরি হেমব্রম, অর্না সাউ, আকশা সাউ, সেখ রুহুল আমিন, অমরেন্দ্র দত্ত, অনীশ সোম, আক্রামুল হক, গৌর নিতাই সাহা, শিল্পা ওঁরাও, হনুমাথ সাউ, কিরন সাউ, আশিস সাঁতরা।