মুকুলের সঙ্গে বয়ানে তফাৎ! বিজেপি পিষে মারতে পারে, তৃণমূলকে বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
রাজ্যে তৃণমূলের অত্যাচারের মাত্রা ৭২-এর সন্ত্রাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর।
রাজ্যে তৃণমূলের অত্যাচারের মাত্রা ৭২-এর সন্ত্রাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, একইসঙ্গে তিনি বলেন বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দল তৃণমূলকে পিষে মারতে পারে। প্রয়োজনে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হতে পারে বলেও জানায়িছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
'৭২-এর জমানাকে ছাড়িয়েছে তৃণমূল'
সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর। সূত্রের খবর অনুযায়ী তিনি বলেন, এতদিন রাজ্যে কালো জমানা বলতে বোঝাত ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭-এর সময়কে। কিন্তু তৃণমূলের অত্যাচার সেই সময়কেও ছাপিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
'রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি জানাব'
লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকেই পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা এমন কী তৃণমূল বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, বিজপির মতো সর্বভারতীয় দল ইচ্ছা করলে তৃণমূলকে পিষে মারতে পারে। কিন্তু তা না করে রাজনৈতিক শক্তি দিয়েই বিজেপি তৃণমূলের হামলার মোকাবিলা করছে বলে জানান তিনি। তবে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে, রাজ্যে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।
'রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন নয়'
রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন কিংবা রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের পক্ষে নন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। কেননা তা করলে তৃণমূল নেত্রীর হাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। মুকুল রায় সোমবার এবিষয়ে কটাক্ষ করে বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী কেঁদে কেটে বলতে পারবেন, তাঁর সরকার ফেলে দেওয়া হল। কিন্তু তা করতে দিতে বিজেপি রাজি নয়। জানিয়েছিলেন মুকুল রায়।