ভারতে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের জাল বিস্তার নিয়ে বুরহানকে নিয়ে তদন্তে এনআইএ
এনআইএ হেফাজতে কড়া জেরার সম্মুখীন খাগড়াগড় বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী বুরহান শেখ। পশ্চিমবঙ্গসহ সারাদেশে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন কী ভাবে জাল বিস্তার করেছে তা জানার চেষ্টায় এনআইএ
এনআইএ হেফাজতে কড়া জেরার সম্মুখীন খাগড়াগড় বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী বুরহান শেখ। তাঁকে জেরা করে পশ্চিমবঙ্গসহ সারাদেশে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন কী ভাবে জাল বিস্তার করেছে তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ-র চার্জশিটে একুশ নম্বরে নাম রয়েছে বুরহান শেখের। তদন্তকারিদের দাবি এর আগেই ধৃত মৌলনা ইউসুফ, সাজিদ, নাসিরুল্লাসহ একাধিক জেএমবি সদস্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে কাজ করত সে। বিস্ফোরণের পর তাদের সঙ্গেই ভারতের বিভিন্ন জায়গাসহ প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালিয়ে বেড়িয়েছে। পরিচয় লুকিয়েই কলকাতাসহ আশপাশের এলাকাতেও যাতায়াত ছিল বুরহানের।
মঙ্গলকোটে জমিও কিনেছিল বুরহান। জমি কিনতে বুরহানের টাকার উৎস কী ছিল তা নিয়ে তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা। আর্থিক সাহায্যকারীদের নাম জানতে ইতিমধ্যেই বুরহানকে জেরা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুরহান তার শিমুলিয়ার সম্পত্তি মৌলনা ইউসুফ শেখের হাতে তুলে দিয়েছিল। সেখানেই মাদ্রাসা তৈরি করে জঙ্গি- ট্রেনিং হত বলে অভিযোগ।
২০১৪-র ২ অক্টোবরে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের পরেই প্রকাশ্যে আসে ভারতে বসেই বাংলাদেশে জঙ্গি নাশকতার ছক। জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য ছিলেন পলাতক ও মৃতরা।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের প্রায় তিনবছর পর ১৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কলকাতা থেকে গ্রেফতার হয় বুরহান শেখ। মুচিপাড়া থানা এলাকার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট থেকে তাঁকে ধরে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। পরের দিনই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে হেফাজতে পায় এনআইএ।
কলকাতা পুলিশের এসটিএফের সাফল্য একদিনে আসেনি। মাসের পর মাস ধরে বুরহানের আত্মীয় এবং পরিচিতদের ওপর নজরদারি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা। তাঁকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা।