বিজেপি করার অভিযোগে মারধর সন্দেশখালিতে, অভিযুক্ত তৃণমূল
বিজেপি করার অভিযোগে মারধর সন্দেশখালিতে, অভিযুক্ত তৃণমূল
সন্দেশখালিতে বিজেপি করার অপরাধে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা সন্দেশখালি থানার জেলিয়াখালি এলাকায় বিজেপি করার অপরাধে জয়ন্ত মন্ডল নামে এক বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত ২৩ জুন। সকাল দশটার দিকে ওই এলাকার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জয়ন্ত মন্ডলের বাড়িতে চড়াও হয়ে, ওই বিজেপি নেতাকে মারধর করে এমনকি তার স্ত্রী ঋতুপর্ণা মন্ডলকে মারধর করা হয় বলেও বলে অভিযোগ। এমনকি গৃহবধূর ১৬ দিনের পুত্রসন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা।
বিজেপি নেতার অভিযোগ, এরপর তার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক ভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে ধরিয়ে দেদেওয়া হয়য়। এবং এলাকায় থাকতে গেলে তৃণমূল করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার।
এদিন সকালে ওই এলাকা থেকে কোনও রকমে বসিরহাটে পালিয়ে আসে ওই বিজেপি নেতা। বর্তমানে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিজেপি নেতা জয়ন্ত মন্ডলের স্ত্রী ও ছেলে বর্তমানে বাড়ি ছাড়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনোভাবে জড়িত নয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরই এই মাসে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ সন্দেশখালি এলাকায় খুন হন দুই বিজেপি নেতা ও এক তৃণমূলের কর্মী। একজন বিজেপির কর্মী এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনা তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। অভিযোগ এখনো অধরা রয়েছে এই ঘটনার মূল অভিযুক্তরা। এরপরে গতকাল ফের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সরকারি হাসপাতালে করোনা বাদে অন্য রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত, অভিযোগ তুলে পথে কংগ্রেস