বাংলায় লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে নেতানেত্রীদের প্রতিক্রিয়া
বাবুল
সুপ্রিয়
:
খুব
টেনশন
হচ্ছে।
যতক্ষণ
না
বাকিরা
হারছে
ততক্ষণ
টেনশেন
থাকবে।
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়
:
এই
ফল
প্রত্যাশিত
ছিল।
মানুষ
সন্ত্রাসের
বিরুদ্ধে
জনমত
দিয়েছে।
এই
জয়
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
জয়।
ব্রাত্য বসু : সবাই বলছিল, এত বেশি আসন কী আমরা পাব। কিন্তু আমি প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলাম। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু'হাত তুলে আশীর্বাদ করেছে। বাংলায় বিজেপির যে সভাগুলোয় জনসুনামি দেখা গিয়েছিল তাতে বিজেপি অন্য দলেরও লোক পাঠিয়েছে। বাকি রাজ্যগুলিতে ইউপিএ ২ সরকারের ব্যর্থতার ফল এনডিএ পেয়েছে। কিন্তু বাংলায় সরকারের উন্নয়নের পক্ষে সচেতনভাবে ভোট দিয়েছে। বিরোধীকা সন্ত্রাসের অভিযোগ সবসময়ই করে। পুরভোটেও করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু কী প্রমাণ করতে পেরেছিল? এত বড় আকারের নির্বাচনে ছোট খাটো বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল তো হবেই তা আটকানো সম্ভব নয়। কিন্তু তাকে সন্ত্রাস বলা চলে না।
সৌগত রায় : আমার এই জয়ের জন্য দলের কর্মী, নেতা, এবং অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁর সম্মান রাখতে পেরে ভাল রাখছে। সিপিএম যতদিন না তাদের পুরনো বুদ্ধবাবু-বিমানবাবুর মুখগুলো পাল্টাচ্ছে ততদিন সিপিএমের ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল। আর একইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকেও বুঝতে হবে, যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা ছড়ানো হবে তত আমাদের ভোট বাড়বে।
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
:
এ
জয়
মানুষের
জয়।
আমি
আবারও
বলছি,
ভবিষ্যতে
তৃণমূল
দেশের
সরকারের
ক্ষেত্রে
নির্ণায়ক
ভূমিকা
নেবে।
আমরা
এতদিন
মানুষের
জন্য
কাজ
করে
এসেছি।
আগামী
দিনেও
তাই
কবর।
আর
একটা
জিনিস
বলতে
চাই,
মানুষ
অনেক
কষ্ট
করে
গরমের
মধ্যে
ভোট
দিয়েছেন।
তাদের
সকলকে
ধন্যবাদ
জানাতে
চাই।
আঞ্চলিক
দলগুলি
বেশ
ভাল
ফল
করেছে।
বিশেষ
করে
তামিলনাড়ুতে।
তবে
ওখানে
তো
আর
এখানকারমতো
বিরোধী
নেই।
বাংলায়
তো
সবচেয়ে
বড়
বিরোধী
মিডিয়াই।
মিডিয়া
এক
তরফাভাবে
একপেশে
প্রচার
করেছে।
এদিকে
এত
কুৎসা
করেও
তো
হারিয়ে
গেল
সিপিএম।
নাকটাতো
কেটে
গেছে।
যারা
সব
বাধা
সত্ত্বেও
তৃণমূলকে
ভোট
দিয়েছে
তাদেরকে
সেলাম
জানাই।
গণতন্ত্রে
মানুষের
শক্তিই
সবচেয়ে
বড়
শক্তি।
এই
জয়ের
কৃতিত্ব
মানুষেরই।
দলের
কর্মীদের
অনুরোধ
করব
শান্তি
বজায়
রাখার
জন্য।
কোনওরকমের
অশান্তি
রাজ্যে
কাম্য
নয়।
আমাদের
বিরুদ্ধে
সবকটা
কেন্দ্রীয়
সংস্থা
পক্ষপাত
করেছে।
একমাত্র
মানুষের
স্বতঃস্ফূর্ত
আচরণের
জন্যই
তৃণমূল
কংগ্রেস
এই
জয়
পেয়েছে।
প্রকাশ কারাত : রাজ্যে তৃণমূলের এই সাফল্য 'রিগিং ও সন্ত্রাসের ফল।' ভোটগ্রহণের সময়ে ভোটকেন্দ্রগুলিতে হিংসা হয়েছে। সিপিএমকে টার্গ্ট করা হয়েছে। সিপিএম যে ২-৩টি আসনে জিতছে সেগুলিতে প্রথম দু'দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে, যখন সন্ত্রাস হয়নি।
অধীর চৌধুরি : তৃণমূল এই সাফল্য পেয়েছে ঠিকই কিন্তু এই সাফল্যে সন্ত্রাস-রিগিংয়ের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। ১০০ বার রয়েছে। গতবারের থেকে কংগ্রেসর ভোটভাগ বেড়েছে। তবে বাংলায় বিজেপির ভোট বাড়াটা নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয়। নিশ্চয় এই বিষয়ে কংগ্রেসকে আরও ভাবতে হবে। কংগ্রেসকে আবার বাংলায় ঘুরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিতে হবে। ভারতবর্ষে বিজেপিকে কংগ্রেসের আক্রমণ দেখে দেখে তৃণমূল হালে বিজেপিকে আক্রমণ শুরু করেছে। একদিন তো এই মমতাদিই হাত ধরে বিজেপিকে এনেছিল। এখন বুঝুক। ভবিষ্যতে এই দলই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুশ্চিন্তায় ফেলবে। মোদী কত কাজ করেছে জানিনা তবে উনি ভাল সেলসম্যান।
রাহুল সিনহা : আজকের রায়ে স্পষ্ট হয়ে গেল মোদী ও বিজেপির বিকল্পের হাওয়া বইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় জয়ের কারণ সন্ত্রাস ও রিগিং। আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, মমতা বিরোধী ভোটটা বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। যার সুফল পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জয় ভবিষ্যতে তৃণমূলের অস্বস্তির কারণ হবে। বাংলায় যদি আমাদের সিপিএমের মতো বড় সংগঠন থাকত তাহলে বাংলায় বিজেপির জয়ের চিত্রটা অন্যরকম হতো। যারা বিজেপিকে সমর্থন করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবং যারা আমাদের সমর্থন করতে পারেননি তাদেরকেও ধন্যবাদ। আমরা দুঃখতি তাদের কাছে হয়তো আমরা পৌছতে পারিনি বলেই সমর্থন পাইনি।
প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায় : মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সততা,উন্নয়নের কারণেই এই জয় সম্ভব হয়েছে। আমারা ওনার সৈনিক। এর থেকে প্রমাণ হয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যত বিষোদগার হবে তত ভোটের সংখ্যা বাড়বে আমাদের। আমরা পঞ্চায়েত, পুরভোট জিতেছি। এবার লোকসভা জিতেও প্রমাণ হয়ে গেল মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন। আমার জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই জয়। আগামী দিনে দিদির ড্রিম প্রজেক্ট ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকস্প নিয়ে কাজ করব। অধীর বাবুকে এ নিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। তিনি কোনও উত্তর দেননি। হাওড়াকে সোনা দিয়ে মুড়ে দেব তা কখনওই বলছি না। তবে মানুষের জন্য কাজ করব।