ইডির হাতে দুর্নীতির ‘ব্ল্যাক-বক্স’! সারদার লাল ডায়েরির পর যত কাণ্ড অর্পিতার কালো ডায়েরিতে
ইডির হাতে দুর্নীতির ‘ব্ল্যাক-বক্স’! সারদার লাল ডায়েরির পর যত কাণ্ড অর্পিতার কালো ডায়েরিতে
সারদা কেলেঙ্কারিতে হইচই ফেলে দিয়েছিল সুদীপ্ত সেনের লাল ডায়েরি। এবার শিক্ষা দুর্নীতিতে সামনে এসে গিয়েছে মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কালো ডায়েরি। এখন প্রশ্ন উঠছে এই কালো ডায়েরিই কি হয়ে উঠবে বাংলার নিয়োগ দুর্নীতির ব্ল্যাক-বক্স? নাকি সুদীপ্ত সেনের লাল ডায়েরির মতোই কালো ডায়েরির রহস্যাবৃত রয়ে যাবে।
অর্পিতার কালো ডায়েরির পাতায় সবার নজর
শুধু তো আর সুদীপ্ত সেনের লাল ডায়েরি বা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কালো ডায়েরিই দুর্নীতির তদন্তে উঠে আসেনি। আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দুর্নীতির তদন্তে ডায়েরি হয়ে উঠেছে প্রামাণ্য বস্তু। সারদা কেলেঙ্কারিতে সুদীপ্ত সেনের লাল ডায়েরির মতোই, সাহারা কর্তা সুব্রত রায়ের ডায়েরি ও হাওয়ালায় সুরেন্দ্র জৈনের ডায়েরির কথা উঠে এসেছে বারবার। এখন অর্পিতার কালো ডায়েরির পাতায় সবার নজর।
সুদীপ্তর লাল ডায়েরি বনাম অর্পিতার কালো ডায়েরি
সুদীপ্ত সেনের লাল ডায়েরির পর অর্পিতার কালো ডায়েরি ফের খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের লাল ডায়েরি উদ্ধারের পর মনে করা হয়েছিল, সেখানে লেখা থাকবে কোন কোন নেতা-মন্ত্রীকে টাকা দেওয়া ছিল, তাঁদেরকে কত টাকা দেওয়া ছিল। এছাড়া কে কীভাবে ব্ল্যাকমেল করেন, টাকা নেন, কোন অনুষ্ঠানে টাকা নেন, কার আবদারে কত টাকা দিতে হয়েছে, সব কিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ লেখা থাকবে। কিন্তু তদন্তকারীরা তেমন কিছু পেয়েছেন বলে আজও জানা যায়নি। সুদীপ্ত সেন তো পরে জানিয়েছিলেন তাঁর কাছে কোনও লাল ডায়েরি ছিল না।
২৫০ পাতার কালো ডায়েরি, সঙ্গে ৪০ পাতার পকেট ডায়েরি
এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির বাড়িতে হানা দিয়ে ইডি আধিকারিকরা পাহাড় প্রমাণ টাকা, গয়না ভাণ্ডার তো আবিষ্কার করেছেনই, সেইসঙ্গে বহু নথির সঙ্গে একটি কালো ডায়েরিও আবিষ্কার করেছেন। ২৫০ পাতার কালো ডায়েরির সঙ্গে ৪০ পাতার একটি পকেট ডায়েরিও আবিষ্কার হয়েছে। এই দুই ডায়েরি থেকে মূল্যবান কিছু তথ্য মেলে কি না, সেই চেষ্টায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।
অর্পিতার কালো ডায়েরি নিয়ে আশার আলো ইডির
সুদীপ্ত সেনের লাল ডায়েরির ক্ষেত্রে যেমন কোন নেতাকে কত টাকা দিয়েছেন তা জানার অধীর আগ্রহে ছিলেন তদন্তকারীরা, এক্ষেত্রেও অর্পিতার কালো ডায়েরির পাতা থেকে কালো টাকার হিসেবে মিলতে পারে বলে আশায় রয়েছে ইডি। এখন দেখার অর্পিতার কালো ডায়েরি নিয়ে কোনও রহস্য উদ্ঘাটন হয় কি না। নাকি সুদীপ্তের লাল ডায়েরির মতোই অর্পিতারও কালো ডায়েরিও রহস্যাবৃত থেকে যায়।
ডায়েরির পাতায় পাতায় নাকি রহস্যের ঘনঘটা
বিশেষ সূত্রে জানান গিয়েছে, অর্পিতারও কালো ডায়েরির পাতায় পাতায় নাকি রহস্যের ঘনঘটা। তাহলে কি লেখা রয়েছে কারা টাকা দিয়েছেন, তাঁদের নাম। কারা টাকা দিয়েছেন, কত টাকা দিয়েছেন সেই হিসেবে কি ওই কালো ডায়েরি থেকেই পেয়ে যাবেন তদন্তকারীরা। ওই ডায়েরিতে কি মিলবে বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তির যোগ? আর কোথায় কী রয়েছে, তার কোনও ইঙ্গিত বা দিশা কি দিতে পারে অর্পিতার ওই কালো ডায়েরি?
কী কী মিলচতে পারে রহস্যঘন ওই কালো ডায়েরি থেকে
কালো টাকার সব হিসেবে নিকেশ মেলাতে ইডি আধিকারিকরা ওই কালো ডায়েরির ভরসা করছে। ওই ডায়েরিতে লেখা রয়েছে- ডিপার্টমেন্ট অব স্কুল এডুকেশন, গভর্নমেন্ট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল। জানা গিয়েছে, ওই ডায়েরিতে উল্লেখ রয়েছে ৬টি ভুয়ো সংস্থার নাম। যার ডিরেক্টর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ওই ৬টি সংস্থায় অর্পিতার আত্মীয়রা বিনিয়োগ করেছেন বলেও তথ্য উঠে এসেছে ডায়েরির পাতা থেকে। ডায়েরির পাতা উল্টে অনেক কিছুই মিলছে বলে জানা গিয়েছে। আবার অনেকের নামও নাকি ওই ডায়েরিতে রয়েছে।
৬৯ বছর বয়সী পার্থের ওজন নাকি ১১১ কেজি! বাকি রিপোর্টগুলি দেখলে কি বলবেন