করোনা ভাইরাস থেকেও বিপজ্জনক 'মোদী ভাইরাস'! কটাক্ষ অনুব্রতর
সামনেই পুরসভা ভোট। যা আপাতত বিজেপি তৃণমূল দুই শিবিরের কাছেই লিটমাস টেস্ট। আর তারপরই আসছে বিধানসভা ভোটপর্ব। আর ২০২১ সালের সেই মহারণের আগে, আপাতত তৃণমূলের বীরভূমের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ব্যস্ত রাঢ়বাংলায় তৃণমূলের পোক্ত ঘুঁটি সাজাতে। তার আগে, আউশগ্রামে একটি সভায় তৃণমূলের কর্মীদের উদ্দেশে একাধিক বার্তা দেন অনুব্রত মণ্ডল।
অনুব্রত মণ্ডলের খোঁচা মোদীকে
এদিন
মোদীকে
ফের
একবার
স্বভাবসিদ্ধ
ভঙ্গিমায়
বিঁধে
অনুব্রত
মণ্ডল
তোপ
দেগে
বলেন,
করোনা
ভাইরাসের
থেকেও
ভয়ঙ্কর
মোদী
ভাইরাস।
ফলে
এই
ভাইরাসকে
কীভাবে
নষ্ট
করা
যায়,
কীভাবে
বিনাশ
করা
যায়,
তার
চেষ্টা
করা
হচ্ছে।
তিনি
বলেন
,
এর
জন্য
'পশ্চিমবঙ্গের
গবেষণাগারে
ওষুধ
আবিষ্কারের
চেষ্টা
চলছে।'
অনুব্রত মণ্ডলের বার্তা
অনুব্রত মণ্ডল এদিন পুরভোটের আগে , দলের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে একাধিক 'ভোকাল টনিক' দিয়েছেন। দিয়েছেন একাধিক নির্দেশ। বিধানসভাকে পাখির চোখ করে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে গুসকরা শহরে আয়োজিত এক সভায় অনুব্রত মণ্ডল বলেন, যে সমস্ত বুথে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন কোন ব্যবস্থা বুথ স্তরে নেওয়া হচ্ছে তাও তৃণমূলের জেলা সভাপতি জানতে চান।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অনুব্রতর তোপ
অনুব্রত মণ্ডল এদিন কর্মীদের মধ্যে ফের একবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর লড়াইয়ের প্রসঙ্গ উস্কে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে এনআরসি নিয়ে লড়াই করেছেন কর্মীদের সেভাবে লড়াই করার বার্তা দেন অনুব্রত। অনুব্রত বলেন, 'মহারাষ্ট্র, তেলাঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, বিহার, রাজস্থান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে এনআরসি নিয়ে। '
বিধানসভার ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত অনুব্রত
বিধানসভা ভোটে নিজের ঘুঁটি সাজাতে রীতিমতো ব্যস্ত অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের ২৬৯ টি বুথের কর্মীদের নিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে গুসকরার আউশগ্রামে আলোচনায় বসেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রশ্ন তোলেন, যে সমস্ত জায়গায় তৃণমূল লোকসভায় পিছিয়ে ছিল, সেখানে আগামী বিধানসভায় কত 'লিড' পাবে ঘাসফুল , তা নিয়ে সরাসরি বুথ সভাপতিদের কাছে জানতে চান অনুব্রত মণ্ডল।
'বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতে পারে..'
দোলের আগে, দলীয় কর্মীদের নিয়ে এই বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের বেরেন্ডার অঞ্চল সভাপতির উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতে পারে যেকোনও মুহূর্তে । ফলে বুথে বুথে বসে মিটিং করাই কাম্য বলে জানিয়ে দেন কেষ্ট।