গরু পাচার মামলায় ইডিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ অনুব্রত মণ্ডলের, দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল নেতা
দিল্লিতে ইডির জেরার ঘটনায় এবার পাল্টা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। দিন কয়েক আগে তাঁকে জেরার জন্য দিল্লি নিয়ে যাবে বলে ইডি। দিল্লির নিয়ে যাবার এমন খবর শুনেই তাঁর বুকে ব্যথা হয়ে গিয়েছিল, নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। আজ মঙ্গলবার, জানা যাচ্ছে এবার দিল্লিকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। এই মামলায় পাশে পাচ্ছে দুঁদে আইনজীবীকে।
একাধিক মামলায় জর্জরিত অনুব্রত
এই মুহূর্তে একাধিক মামলায় জর্জরিত অনুব্রত মণ্ডল। তবে তাঁর উপর সব সময়েই সদয় দলনেত্রী। তাঁকে গরু পাচারে তলব করার সময়েই তিনি তাঁর হয়ে কথা বলেছিলেন। এখন ওই একটা মামলায় তিনি আর জড়িত নন। জড়িয়ে গিয়েছেন একাধিক মামলায়। সঙ্গে আবার লটারি কাণ্ড আছে। মেয়ের সম্পত্তির দিকেও নজর রয়েছে ইডির। আসানসোলের জেলে রেখে তাঁকে জেরা করছে ইডি।
দীর্ঘক্ষণ জেরা
দিন কয়েক আগে তাঁকে বহুক্ষণ ধরে জেরা করে ইডি। তারপরেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর আগেই অবশ্য বলা হয়েছিল যে এই মামলায় তাঁকে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হবে। চাপে পড়ে যান অনুব্রত। এখানে তবু কেউ আছেন তাঁর সঙ্গে। হিল্লি দিল্লি করলে আর কে থাকবে? পাশে পেয়ে গিয়েছে কপিল সিব্বলের মতো দুঁদে আইনজীবীকে। তাই তিনি এবার দিল্লি হাইকোর্টে ইডির যে দাবি তা নিয়ে পালটা দিতে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন।
ইডি'র আবেদনের বিরুদ্ধে
দিল্লি
হাইকোর্টে
অনুব্রত
মণ্ডল
ইডি'র
যে
আবেদন
তার
বিরুদ্ধে
গিয়ে
আদালতের
দ্বারস্থ
হয়েছেন।
কপিল
সিব্বল
বলেছেন
যে,
বাংলায়
এই
বিষয়ে
যে
শুধু
অনুব্রত
মণ্ডলের
মামলা
চলছে
তা
নয়।
সেখানে
একাধিক
মামলা
চলছে।
তাহলে
এই
একটি
মামলাকে
দিল্লি
নিয়ে
যাবার
মানে
কী?
এই
মামলাও
এখানেই
হোক।
হ্যাঁ,
অনুব্রত
মণ্ডলকে
ইডি
হেফাজতে
রাখুক।
তা
করেই
তাঁরা
জেরা
করুন।
এতে
সমস্যা
কোথায়?
এত
দূর
একটা
মামলা
টেনে
নিয়ে
যাবার
প্রয়োজনীয়তা
নেই
বলে
মনে
করছেন
কপিল
সিব্বল।
ঘটনার সূত্রপাত
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। অনুব্রতকে একদম জেরায় জেরায় জেরবার করে দেয় ইডি। টানা পাঁচ ঘন্টা ধরে বসিয়ে ইডি জেরা করে। তারপর তাঁকে করা হয় গ্রেফতার। এরপর চটজলদি সিদ্ধান্ত হয়ে যায় যে তাঁকে নিয়ে দিল্লি যাবে ইডি। এর পালটা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
এর আগে ১১ অগাস্ট তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁকে ধরার পর থেকে এই বিষয়ে প্রচুর তথ্য সামনে চলে আসছে।