ভাঙলেও মচকাচ্ছেন না, কোণঠাসা গুরুং ফের অশান্তির সূত্র খুঁজছেন
নবান্নের বৈঠকের পর যে বার্তা দিয়েছিলেন গুরুং, এদিনও সেই একই কথার প্রতিধ্বনি তাঁর কণ্ঠে।
ভাঙলেও মচকাচ্ছেন না মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। পাহাড় বৈঠকে মোর্চার প্রতিনিধিরা এক হয়ে রাজ্যের সঙ্গে পাহাড়ে শান্তির আবেদন জানালেও মোর্চা প্রধান বেঁকে বসলেন ফের। তিনি বললেন, 'উত্তরকন্যায় যেটা হয়েছে, সেটা বৈঠকই নয়। গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনা হয়নি, তা আবার বৈঠক কীসের। ত্রিপাক্ষিক বৈঠক না হলে পাহাড় বনধ উঠবে না। এদিন ফের হুঁশিয়ারি দিলেন বিমল গুরুং।'
এদিন পাহাড় বৈঠক ইতিবাচক বলে ব্যাখ্যা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে বিমল গুরুংয়ের দুই প্রতিনিধি বিধায়ক অমর সিং রাই ও সরিতা রাইও সহমত পোষণ করেছেন। পাহাড়ে শান্তি স্থাপনার পক্ষে রায় দিয়েছেন। বনধ তুলে নেওয়ার পক্ষপাতী তাঁরাও। কিন্তু নবান্নের বৈঠকের পর যে বার্তা দিয়েছিলেন গুরুং, এদিনও সেই একই কথার প্রতিধ্বনি তাঁর কণ্ঠে।
পাহাড়ে বনধ তুলে শান্তি ফেরানোর ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছে সমস্ত দলই। সেইসঙ্গে স্থায়ী সমাধানের জন্য পাহাড়ের দলগুলি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি জানিয়েছে। তা নিয়ে পরবর্তী ১৬ অক্টোবরের বৈঠকে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৭ দফা দাবির অধিকাংশ মেনেও নিয়েছেন তিনি। তবু পাহাড় নিয়ে অশান্তি জিইয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গুরুং।
এদিন বিমল গুরুং সাফ জানিয়েছেন, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আগে বনধ তোলার চেষ্টা করলে ফল ভালো হবে না। তবে পাহাড়ে আর গুরুংয়ের হুঁশিয়ারি আর কেউ পাত্তা দিচ্ছেন না। আগে বিনয় তামাং-অনীত থাপারা গুরুংয়ের বিরোধিতায় সামিল হয়েছিলেন। এবার পাহাড়ের দুই বিধায়কের কণ্ঠেও গুরুং বিরোধী সুর। পাহাড়ের মানুষও তো বনধ প্রত্যাহারের পক্ষে। তাই সব নিয়ে বেশ চাপে গুরুং।