ব্রিগেড সমাবেশের পর নানা কাণ্ড করে বিতর্কে জেলা থেকে আসা সমর্থকেরা
শনিবারের ব্রিগেড থেকে কেন্দ্রের বিজেপি হটাওয়ের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবারের ব্রিগেড থেকে কেন্দ্রের বিজেপি হটাওয়ের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সমাবেশে আসা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও একই সুরে নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। সকলের দাবি এক, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সরিয়ে দিতে হবে একজোট হয়ে লড়ে।
এহেন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে দূর-দুরান্তের জেলা থেকে বহু মানুষ কলকাতায় এসেছেন। নেত্রী কোন পথে দিশা দেখাবেন, কোন কথা শুনে তাঁরা আগামিদিনে চলবেন, তা জানতেই ব্রিগেডে এসেছিলেন সকলে। তার মাঝেই অনেকে এত বড় শহরের চাকচিক্য দেখে তাজ্জব বনে গেলেন।
কলকাতায় প্রথমবার এসেছিলেন এর মধ্যে অনেকেই। ফলে বড় শহরে এসে অনেকেই এমন কিছু কাজ করলেন যা করা একেবারেই উচিত হয়নি।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী অনেক তৃণমূল সমর্থক যাঁরা প্রথমবার কলকাতায় আসেন, তাঁরা মেট্রো রেল দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছেন। এভাবে রেল পাতালে চলে যাচ্ছে, আবার বেরিয়ে আসছে, তা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি একঝলক দেখে।
অনেকেই দেখেছেন, হাজার হাজার মানুষ মেট্রো রেল ধরতে পাতালে প্রবেশ করছেন, আবার বেরিয়ে আসছেন। তবে গ্রাম থেকে আসা মানুষরা তা করতে চাননি। তাঁদের সাফ কথা, একেবারে মরার পরই পাতালে যাব, তার আগে নয়।
শুধু তাই নয়, মেট্রো স্টেশনের চলন্ত সিড়ি বা এসকেলেটর দেখেও অনেকে তাজ্জব বনে গিয়েছেন বলে খবর। কেউ কেউ আবার মলগুলি থেকে জিনিসও নিজের মনে করে তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। একজনকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেছেন, তাঁর আগে যিনি ছিলেন, তিনি নিজে চলে গিয়েছেন। ফলে বিনা পয়সায় বিলি হচ্ছে ভেবে তিনিও সামগ্রী তুলে নিয়েছিলেন।
এর পাশাপাশি একজন আবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে বিপদে পড়তে পড়তে বেঁচেছেন। একেবারে মাঝ রাস্তায় চলে গিয়েছিলেন সেলফির নেশায়। তবে গাড়িচাপা পড়েননি। বেঁচে ফেরত এসেছেন।
ছবি সৌজন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল পেজ