এস এস আহলুওয়ালিয়া : বাবুলের পর বাংলা পেল দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
কলকাতা, ৫ জুলাই : মাত্র ৪ বছর আগের কথা, সুরেন্দ্রজিৎ সিং আহলুওয়ালিয়া ভেবেছিলেন হয়তো তার চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে দাঁড়ি পরতে চলেছে। ২০১২ সালে ঝাড়খণ্ড রাজ্যসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। এমনকী রাজ্যসভায় বিদায়ী ভাষণে তিনি বলেওছিলেন, বাকি জীবনটা পাটনার বাড়িতেই কাটাবেন।
তৎকালীম লোকসভায় বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ এবং দলের সভাপতি নীতিন গড়কড়ির মধ্যে দূরত্বের জেরে বিজেপি আহলুওয়ালিকে পুনর্নির্বাচিত করতে অস্বীকার করে। তার জেরে মানসিকভাবে আহত হয়েছিলেন বিজেপির প্রবীন এই নেতা। কারণ সুষমা স্বরাজ ও লালকৃষ্ণ আদবানী ঘণিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি।
২০১২ সালে রাজ্যসভায় বিরোধী দলের ডেপুটি নেতা ছিলেন আহলুওয়ালিয়া। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছাত্রনেতা হিসাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে রাজীব গান্ধী তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান। রাজ্যসভায় রাজীব গান্ধী ব্রিগেডের সৈন্য ছিলেন আহলুওয়ালিয়া।
রাজীব গান্ধী হত্যার পরও সোনিয়া গান্ধীর বিশ্বাসভাজন ছিলেন আহলুওয়ালিয়া। তবে সীতারাম কেশরীর নেতৃত্বে কংগ্রেস পরিস্থিতি পুনরুত্থানের কোনও চেষ্টা না করায় আহলুওয়ালিয়া কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে ২০০০ সালে বিজেপিতে যোগ দেন।
২০১৪ সালে ফের পরিস্থিতি আহলুয়ালিয়ার পক্ষে আসে। দলের বরিষ্ট নেতা যশোবন্ত সিং ২০০৯ সালে দার্জিলিং থেকে না লড়ে রাজস্থান থেকে লড়ার জন্য চাপ দিতে থাকে দলকে। তিনি দার্জিলিং ছেড়ে দেওয়ায় সেই আসনেই দলের টিকিটে লড়েন এসএস আহলুওয়ালিয়া এবং জয়ীও হন। ২ বছর পর ক্যাবিনেট সম্প্রসারণে তাঁর কাজের কথা মাথায় রেখে তাকে মন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, ৫ জুলাই মোদী সরকারের নতুন ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করলেন তিনি।