তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষেকই! যশবন্ত-কে গুরু দায়িত্ব মমতা'র
জাতীয় রাজনীতিতে একেবারে ঢেলে সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখানে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর নেতৃত্বেই জাতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের সংগঠনকে মজবুত করতে চায় নেতৃত্ব।
জাতীয় রাজনীতিতে একেবারে ঢেলে সাজতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখানে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর নেতৃত্বেই জাতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে চায় নেতৃত্ব। একই সঙ্গে জাতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল যশবন্ত সিনহাকে।
পাশাপাশি এদিন একাধিক কমিটিও জাতীয়স্তরে গঠন করা হয়েছে। আর সেই সমস্ত কমিটিতে একাধিক নতুন মুখ আনা হয়েছে।
আজ জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে ২০ জন কর্মসমিতির সদস্যদের ডাকা হয়। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে চলে এই বৈঠক। আর সেই বৈঠক শেষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে ফেরানো হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেই এই ব্যক্তি এক পদ নিয়ে প্রবীণ এবং নবীনদের মধ্যে একটা সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কেও চিড় ধরেছে বলে রাজনৈতিকমহলে জোর গুঞ্জন। আর এরপরেও সেই জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের সংগঠনকে মজবুত রাখতে অভিষেকের উপরেই আস্থা তৃণমূল সুপ্রিমোর।
অন্যদিকে তৃণমূলের সহ সভাপতি হিসাবে গুরু দায়িত্ব পেয়েছেন যশবন্ত সিনহা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর আমলে তিনিই ছিলেন মন্ত্রিসভা এবঙ্গ দলের গুরু দায়িত্বে। তবে মোদী সরকারের আমলে ক্রমশ বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে যশবন্ত সিনহার। এবার তাঁকেই সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান মমতা। আর তাই সহ সভাপতি পদে তাঁকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন ওই পদেই রয়েছেন সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে কমিটির মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে ফিরহাদ হাকিমের মধ্যে। পার্থ চট্টপাধ্যায় বলেছেন, একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খোলা হবে। সেখানে প্রত্যেকদিনের আপডেট নিয়ে আলোচনা করা হবে। কার্যত কোথাও কোনও মন মালিন্য না রাখতেই এহেন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে। নীতি নির্ধারণ কমিটিতেও জায়গা দেওয়া হয়েছে যশবন্ত সিনহাকে। পাশপাশি থাকবেন অমিত মিত্রও।
অন্যদিকে জাতীয় মুখপাত্র পদেও নতুন মুখ আনা হয়েছে। এই পদে আনা হয়েছে সুখেন্দুশেখর রায়কে। অন্যদিকে রাজ্যসভাতেও বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর উপরেই। অন্যদিকে লোকসভা চললে জাতীয় ক্ষেত্রে বলবেন কাকলী ঘোষ দস্তিদার। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবার থেকে প্রত্যেকদিন দিল্লির তৃণমূল অফিস থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে। সেখানে কাকলী ঘোষ দস্তিদার এবং মহুয়া মৈত্ররা উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
তবে এই তালিকা কিংবা জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগে দীর্ঘক্ষণ অভিষেকের সঙ্গে আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। আর এরপরেই এহেন ঘোষণা।