পাহাড়ের হিংসায় আরও এক মৃত্যু, ফের কাঠগড়ায় পুলিশ
পাহাড়ে এখন নতুন করে আশঙ্কার মেঘ তাসি ভুটিয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। এতদিন মোর্চার আগুনে পাহাড় জ্বলছিল। এবার বিমল গুরুংদের দোসর হবে জিএনএলএফ?
আবারও পাহাড়ে মৃত্যু। দিন তিনেক আপাত শান্ত থাকার পর ফের হিংসা ছড়াল পাহাড়ে। সেই হিংসা কাড়ল প্রাণ। অভিযোগ, ওষুধ কিনতে বেরিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। নিহত যুবকের নাম তাসি ভুটিয়া। তিনি জিএনএলএফের সক্রিয় সদস্য বলে দাবি।
এর আগে পাহাড় আন্দোলনে চার সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে আসছিল মোর্চা। এবার জিএনএলএফও সেই তালিকায় নাম লেখাল। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার হিংসাত্মক আন্দোলনে এক ট্রাক ড্রাইভারের মৃত্যু হয় জীবন্ত দগ্ধ হয়ে।
শুক্রবার রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাসির দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে তীব্র ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পরস্পর বিরোধী মত উঠে আসছে তাসির মৃত্যুতে। জিএনএলএফ নেতা নিরজ জিম্বার দাবি, তাসি শুক্রবার রাতে যখন ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন, তখন পুলিশের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা বাধে। সেই ঝামেলার জেরেই পুলিশ গুলি চালিয়ে দেয়। পুলিশের গুলিতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
অন্য একটি সূত্রের দাবি, তাসি রাতের অন্ধকারে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করতে আসে, আগুনও লাগিয়ে দেয় গাড়িতে। তখনই হামলা হয়েছে ভেবে পুলিশ গুলি চালায়। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় তাসির। তাসির পরিবারের সোনাদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ এই বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
পাহাড়ে এখন নতুন করে আশঙ্কার মেঘ তাসি ভুটিয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। ফের উত্তেজনা ছড়াতে পারে। এতদিন মোর্চার আগুনে পাহাড় জ্বলছিল। এবার বিমল গুরুংদের দোসর হতে পারে জিএনএলএফ। তারাও এবার নামতে পারে হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনে।
জিএনএলএফ আগে ঘোষণা করেছিল, তাঁরা হিংসার আন্দোলন সমর্থন করেন না। তাই মোর্চা আগুন জ্বালালে তাঁরা সেই আন্দোলনে থাকবেন না। এখন তাঁদের সমর্থকের মৃত্যুর পর কী অবস্থান নেয় জিএনএলএফ, তাই দেখার।
শনিবার সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে পাহাড়কে। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং-সহ পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। সদা সতর্ক পুলিশ, আধা সামরিকবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।