ভোডাফোন পাচার করছে আপনার সব তথ্য, সতর্ক থাকুন!
এই অভিযোগ কোনও সংবাদমাধ্যমের নয়। খোদ দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ইন্টারনাল সিকিউরিটি ডিভিশনের গোপন নথিতে স্পষ্টভাবে এই অভিযোগ আনা হয়েছে ভোডাফোনের বিরুদ্ধে।
ব্যাপারটা কী?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানাচ্ছে, ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশন হেড কোয়ার্টার্স বা জিসিএইচকিউ-কে গত পাঁচ বছর ধরে গ্রাহকদের সব তথ্য পাচার করছে ভোডাফোন। সমুদ্রের তলা দিয়ে কেবল মারফত যে টেলিযোগাযোগ রক্ষিত হয়, সেখান থেকে 'ইন্টারসেপ্ট' করা হচ্ছে। এটা নাকি ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে নজর রাখার কর্মসূচির অঙ্গ। অথচ সেই ফাঁদে এখন সাধারণ গ্রাহকরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্টে স্পষ্ট অভিযোগ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নথিতে লেখা হয়েছে, "জিসিএইচকিউ হ্যাজ সিক্রেট আনলিমিটেড অ্যাকসেস টু দেয়ার নেটওয়ার্ক অফ আন্ডার সি কেবলস হুইচ ক্যারি মাচ অফ ওয়ার্ল্ডস ফোন কলস অ্যান্ড ইন্টারনেট ট্রাফিক।" অর্থাৎ সমুদ্রের তলার কেবলস দিয়ে দুনিয়ার সিংহভাগ ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রবাহিত হয়। সেখানে ভোডাফোনের যে নেটওয়ার্ক রয়েছে, তাতে অবাধ গতিবিধি (আনলিমিটেড অ্যাকসেস) রয়েছে জিসিএইচকিউ-র।
এই অভিযোগ নিয়ে কী বলছে ভোডাফোন?
প্রথার বাইরে যায়নি তারা। অভিযোগ অস্বীকার করার স্বাভাবিক প্রবণতা বজায় রেখে এবারও অস্বীকার করেছে সব কিছু। তাদের দাবি, সব দেশেই ভোডাফোন আইন মেনে ব্যবসা করে। আইনি পদ্ধতি ছাড়া কখনও গ্রাহকদের তথ্য ফাঁস করে না কারও কাছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগ ঠিক নয়।
কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কেন খামোখা এমন অভিযোগ করতে যাবে, তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যায়নি তারা।
ভোডাফোনের তথাকথিত স্বচ্ছতা ঘিরে এর আগেও প্রশ্ন উঠেছে। তারা ১১,২০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার চেপে ধরেছিল। তখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে সাময়িত রেহাই পেলেও এখনও ভোডাফোনের পিছনে পড়ে রয়েছে কেন্দ্র। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের উঠে এল গ্রাহকদের তথ্য পাচারের অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই নথিতে ভোডাফোনের কার্যকলাপ নিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রকের আওতাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ ইকনমিক অ্যাফেয়ার্সকেও।