সরকার বাঁচাতে কত জায়গায় লড়বেন মমতা, পুরুলিয়া থেকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
সরকার বাঁচাতে কত জায়গায় লড়বেন মমতা, পুরুলিয়া থেকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
মঞ্চ পুড়িয়ে বিজেপিকে (bjp) হারানো যাবেন না। এদিন পুরুলিয়ার (purulia) জয়পুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) চ্যালেঞ্জ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। পাশাপাশি তিনি বলেন, যে মাঠে সভা করছেন, সেটা তাঁর চেনা, কিন্তু পতাকাটা বদলেছে। এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবানীপুর, নন্দীগ্রামকে বড়বোন, মেজোবোন মন্তব্যকেও কটাক্ষ করেন।
দুয়ারে সরকার কেন?
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো অনেকদিন আগেই দাবি করেছেন ৯৯ শতাংশ কাজ তিনি করে দিয়েছেন। কিন্তু ভোটের আগে তিনি দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছেন। এনিয়েই কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি এদিন প্রশ্ন করেছেন, সব কাজ যখন শেষই হয়ে গিয়েছে, তাহলে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির প্রয়োজন হয়ে পড়ল কেন?
মঞ্চ পুড়িয়ে হারানো যাবে না
এদিন সভা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মঞ্চ পুড়িয়ে হারানা যাবে না। এব্যাপারে তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন পুরুলিয়ার ফল ৯-০ করতে হবে। প্রসঙ্গত এদিন সকালে সভামঞ্চের খুব কাছেই পেট্রোল ভর্তি একটি কাঁচের বোতল পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা শুভেন্দু অধিকারীর সভাকে ভণ্ডুল করে দিতে মঞ্চে আগুন লাগানোর ছক কষছিল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল দাবি করেছে, এসবই বিজেপির আদি বনাম নব্যদের সংঘাতের ফল।
কংগ্রেস ও বামেদের প্রশংসা
এদিনের সভা থেকে পুরুলিয়ার কংগ্রেস ও বামনেতাদের প্রশংসা শোনা গিয়েছেন শুভএন্দু অধিকারীর মুখে। তিনি এদিন বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনেই পুরুলিয়ার মানুষ চালচোর, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলকে হারাতে সংকল্প করে নিয়েছিলেন। বিডিও অফিসের সামনে লাঠি নিয়ে বসেও কিছু করতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল জয়লাভ করে। তিনি দাবি করেন পঞ্চায়েতের শেষ আড়াইবছর ক্ষমতা বিজেপির হাতে থাকবে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল যে সন্ত্রাস তৈরি করেছিল, তা নেপাল মাহাত, নরহরি মাহাতদের সময়ে দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত নেপাল মাহাত কংগ্রেস নেতা, অন্যদিকে নরহরি মাহাত পুরুলিয়ার প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক সাংসদ। তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন আগেই।
এবার সেজোবোন, ছোটবোন
১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করবেন। এব্যাপারে তিনি মন্তব্য করতে গিয়েছিলেন, এর জন্য ভবানীপুরের মানুষ যেন তাঁকে ভুল না বোঝেন। কেননা ভবানীপুর তাঁর কাছে বড় বোন আর নন্দীগ্রাম তাঁর কাছে মেজোবোনের মতো। অন্যদিকে নন্দীগ্রামে প্রাক্তন বিধায়ক যেমন শুভেন্দু অধিকারী, ঠিক তেমনই ডোমজুড় ও উত্তরপাড়ার বিধায়ক হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রবীর ঘোষাল। ইতিমধ্যেই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিন জয়পুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এরপর নেত্রী ডোমজুড় ও উত্তরপাড়ায় সভা করতে গিয়ে হয়ত বলবেন, ডোমজুড় হল তাঁর কাছে সেজো বোন আর উত্তরপাড়া তাঁর কাছে ছোটবোনের মতো। প্রকারন্তরে শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর কটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেবেন?
আদিবাসী ভোট দখলে যুযুধান মমতা-শুভেন্দু, পুরুলিয়া ৯-০ করার ডাক বিজেপি নেতার