আশা কর্মীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক
আশা কর্মীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক
পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এর কার্সিয়ং মহকুমায় এক স্বীকৃত সামাজিক স্বাস্থ্য কর্মী (আশা) কর্মীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে রবিবার সকালে ৩১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনা কেমন ?
অভিযুক্ত, আয়ুশ থাপা হিসাবে চিহ্নিত, তিনি ওই আশা কর্মীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, নির্যাতিতাকে মকাইবাড়ি প্রধান সড়ক থেকে উদ্ধার করা হয়, যেখানে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
কী জানিয়েছে পুলিশ ?
"প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত একটি চলন্ত গাড়িতে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিল; কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় ওই মহিলা লাফ দিতে সফল হয়েছিলেন,"। এমনটাই জানিয়েছেন মনরঞ্জন ঘোষ, যিনি কার্সিয়ংয়ের সহকারী পুলিশ সুপার।
আশা কর্মীদের প্রতিবাদ
এদিন
এই
ঘটনায়
আশা
কর্মীদের
ওই
ঘটনার
বিচারের
দাবিতে
স্লোগান
দিতে
গিয়ে
প্রতিবাদ
করতে
দেখা
যায়।
এ
বিষয়ে
আরও
তদন্ত
চলছে
বলে
জানা
গিয়েছে।
রাজ্যের
একের
পর
এক
ধর্ষণের
ঘটনা
সামনে
এসেছে
বিগত
তিন
সপ্তাহে।
সবথেকে
ভয়ংকর
হয়
নদিয়া
জেলার
ঘটনা।
এসবের
মাঝেই
আরও
এক
নারী
নির্যাতনের
ঘটনা
সামনে
এল,
তাও
এক
আশা
কর্মীর।
আশা কর্মী কারা ?
আশা কর্মী মহিলারা সবাই জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের পদাতিক সেনা, দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে গ্রামীণ মানুষের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপনকারী, স্বীকৃত সামাজিক স্বাস্থ্যকর্মী - আশা। ১০ লক্ষের বেশি আশা-কর্মী সারাদেশ জুড়ে কাজ করেন এবং অধিকাংশ সময়েই স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রয়োজন তথা সংকটে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে তাঁরাই প্রথম সহায়।
তাঁদের উপর ন্যস্ত আছে ১২ টি প্রাথমিক কর্তব্য ছাড়াও ৬০টি সহ-কর্তব্য যার মধ্যে পড়ে পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ক তথ্য প্রচার, যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসা সম্বন্ধে নিয়মিত খোঁজ রাখা এবং স্বাস্থ্য-সূচক নিয়মিত নথিভুক্ত করা।
এগুলি তো তাঁরা করেনই, তার বাইরেও আরও নানান কাজও করেন। মা ও সদ্যজাত শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি বিধানের জন্য যে প্রশিক্ষণ সেটা তাঁরা দেন। শিশুর জন্মের আগে ও পরে, মা এবং শিশুর যত্ন নেওয়া, সামাজিক স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে সরকারের পরিবার পরিকল্পনা নীতি, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, এবং দুই শিশুর জন্মের মধ্যে ব্যবধান রাখার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করাও আশা-কর্মীদের কাজ।
আশা প্রকল্প চালু হওয়ার সময়ে ২০০৬ সালে শিশুমৃত্যুর হার ছিল প্রতি ১,০০০ জাতকের মধ্যে ৫৭ জন , সেটাই ২০১৭ সালে কমে ৩৩ হয়েছে - এর কৃতিত্ব আআশা-কর্মীদের। ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৫-১৬ মধ্যে শিশুদের জন্মের পর খোঁজ নেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি যাওয়ার হার ৩৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১ শতাংশ এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে প্রসব করার হার বেড়ে হয়েছে ৩৯ শতাংশ থেকে ৭৯ শতাংশ।