'না জানিয়ে বিএসএফ গ্রামে ঢুকলেই আটকে দিন,' নাগাল্যান্ডের ঘটনা তুলে রাজ্য পুলিশকে সতর্ক করলেন মমতা
নাগাল্যান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল দেশ। ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও সে রাজ্যের পরিস্থিতি থমথমে এখনও। বিচারের দাবিতে চলছে লাগাতার আন্দোলন। একই সঙ্গে বিতর্কিত আস্ফা তুলে নেওয়ার দাবিও উঠতে শুরু করেছে।
নাগাল্যান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল দেশ। ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও সে রাজ্যের পরিস্থিতি থমথমে এখনও। বিচারের দাবিতে চলছে লাগাতার আন্দোলন। একই সঙ্গে বিতর্কিত আস্ফা তুলে নেওয়ার দাবিও উঠতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় নাগাল্যান্ডের ঘটনাকে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু তুলে ধরা নয়, এই ইস্যুতে রীতিমত সাবধান করলেন রাজ্য পুলিশকে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও বিএসএফের ডিজির সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
ফের একবার জেলা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সফরে আজ রায়গঞ্জে প্রশাসনিক সভা করেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পরেই জেলাতে নিজের দফতর নিয়ে গিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেই মতো আজ রায়গঞ্জে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ আধিকারিক এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আর সেই বৈঠকেই নাগাল্যান্ড ইস্যুতে রাজ্য পুলিশকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিচ্ছিলেন। আর সেই সময়ে এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি।
বলেন, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়', তা সত্ত্বেও বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে অত্যাচার চালাচ্ছে বিএসএফ। এমন অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। এই বিষয়ে তোমরা (পুলিশকে) কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে? আর তা বলতে গিয়েই বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ওদের সীমান্ত থেকে ১৫ কিমি পর্যন্ত যাওয়ার অধিকার আছে। তা স্থানীয় পুলিশকে জানিয়ে। কিন্তু তা না জানিয়েই ওরা চলে আসছে বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এই বিষয়ে বিভিন্ন থানার আইসি ও বিডিওরা সজাগ থাকার নির্দেশ। গ্রামে বিএসএফে আসলেই সেখানে যান আর তাঁদের আটকে দিন। বলুন, আপনার জুডিশিয়াল মেনে কাজ করুন। এই বিষয়ে বিএসএফের ডিজি-র সঙ্গে কথা বলারও নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
উল্লেখ্য, নাগাল্যান্ড ইস্যুতে ক্রমশ চাপ বাড়ছে মোদী সরকারের। সেনাবাহিনীর গুলিতে গত শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় ১৪ জন সাধারণ গ্রামবাসীর। স্থানীয় কয়লা খনি থেকে ফেরার পথে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় সেনাবাহিনী। ভুল বোঝাবুঝির জেরে এই ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
শুধু তাই নয়, ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে ইতিমধ্যে অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছে তৃণমূল। ঘটনার পরেই নাগাল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের। কিন্তু সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় শেষ পর্যায়ে তৃণমূলের নাগাল্যান্ড সফর বাতিল হয়।
অন্যদিকে এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে একাধিক বিষয় তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। নাকা চেকিং বাড়ানো সহ জেলা পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশ তাঁর।