উত্তরবঙ্গজুড়ে বাংলাভাগের দাবি জোরদার বিভিন্ন সংগঠনের, কার ফায়দা আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে
উত্তরবঙ্গজুড়ে বাংলা বিভাজনের ডাক দিয়েই চলেছে একের পর এক সংগঠন। গ্রেটার কোচবিহার থেকে শুরু করে কামতাপুর, গোর্খাল্যান্ড- আলাদা রাজ্যের দাবি উঠেই চলেছে।
উত্তরবঙ্গজুড়ে বাংলা বিভাজনের ডাক দিয়েই চলেছে একের পর এক সংগঠন। গ্রেটার কোচবিহার থেকে শুরু করে কামতাপুর, গোর্খাল্যান্ড- আলাদা রাজ্যের দাবি উঠেই চলেছে। শুধু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিই নয়, বিজেপির মতো প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিই এই বিভাজনে মদত দিয়ে চলেছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের অভিযোগ।
বিভিন্ন সংগঠনের পৃথক রাজ্যের দাবি কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফায়দা তুলতেই, সেই প্রশ্ন যেমন উঠছে, প্রশ্ন উঠছে কার ফায়দা হবে? রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফায়দা তুলতেই বিজেপি প্রকারান্তরে পৃথক রাজ্যের দাবি তোলা সংগঠনগুলিকে মদত দিচ্ছে।
সম্প্রতি গ্রেটার কোচবিহারের পক্ষে অনন্ত মহারাজ দাবি করেছিলেন পৃথক উত্তরবঙ্গ হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তিনি এই দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে সাক্ষাতের পর। ফলে জল্পনার পারদ আরও চড়েছিল বিজেপির মদত নিয়ে। তার পাশাপাশি গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুংও। তিনি বলেছিলেন, যে দল গোর্খাল্যান্ড সমর্থন করবেন, আমরা সেই দলের পক্ষে।
এবার উত্তরবঙ্গের আরও একটি সংগঠন কামতাপুরকে নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবিতে ১২ ঘন্টার রেল রোকো আন্দোলনের ডাক দেয়। আগামী ৬ ডিসেম্বর রেল রোকো আন্দোলনের ডাক দেয় কামতাপুর পিপলস পার্টি ইউনাইটেড ও কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র চন্দন সিং।
মুলত দুইটি দাবিকে সামনে রেখে তাঁদের এই আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়। একটি হল পৃথক রাজ্য কামতাপুর। আর অপর দাবি হল কামতাপুর ভাষাকে অষ্টম তপসিলির অন্তর্ভুক্ত করা। এই দুটি দাবিতে যৌথ মঞ্চ গড়ে ২৮ নভেম্বর শহিদ দিবস ও রাজনৈতিক সভাও করা হবে বলে জানায় কেপিপি ও কেপিপিএলইউ।
শুধু উত্তরবঙ্গেই নয়, দক্ষিণবঙ্গেও বিভাজনের আওয়াজ উঠছে বারবার। প্রতিক্ষেত্রেই এই দাবি তুলছেন বিজেপির নেতারা। আর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েই চলেছে, এসব নেতাদের ব্যক্তিগত মতামত, দল বঙ্গভঙ্গের পক্ষে নয়। বাংলার বিভাজন চায় না বিজেপি। কিন্তু কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জন বার্লা থেকে শুরু করে নিশীথ প্রামাণিক, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে বিধায়ক অমরনাথ শাখা বঙ্গভঙ্গের দাবিতে সরব হয়েছেন। দক্ষিণবঙ্গে রাঢ়বঙ্গ নাম পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছেন সৌমিত্র, অমরনাথ-রা।