পাকিস্তান: এবার সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
নয়াদিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর: উরিতে ভারতীয় সেনা ছাউনিতে চোরাগোপ্তা জঙ্গিহানায় ১৮ জন জওয়ান নিহত হওয়ার পরে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের উপর চাপ বেড়েছে পাকিস্তানকে এর সমুচিত জবাব দেওয়ার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও দেশজুড়ে যে প্রবল উত্তপ্ততা দেখা দিয়েছে, তার সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে অনবরত। গত শনিবার কেরলের কোঝিকোড়েতে এক জনসভায় মোদী পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে এক কড়া ভাষণ দেন। ['সিন্ধু জল চুক্তি' দিয়ে পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে চাইলে তা ব্যুমেরাং হতে পারে ভারতের কাছে!]
তবে, মোদীর পাকিস্তান-সম্পর্কিত কর্মসূচি সেখানেই শেষ হয়ে যায়নি। বিভিন্ন সংবাদসূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি এবার পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তির উপর মনোনিবেশ করেছেন। জানতে চেয়েছেন বিষয়টি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। সোমবার, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে এব্যাপারে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী উরিকাণ্ডের পরে পাকিস্তানের ব্যাপারে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করবেন এই বৈঠকে। পাকিস্তানের প্রতি পাল্টা চাল হিসেবে সিন্ধু চুক্তিকে ব্যবহার কড়া যায় কী না, খতিয়ে দেখা হবে তাও।
উরির জঙ্গিহানার জবাব হিসেবে পাকিস্তানকে সিন্ধুনদের জল সরবরাহ বন্ধ করার দাবি উঠে এসেছে অনেক মহল থেকেই। অনেকের ধারণা, এর ফলে বেকায়দায় পড়ে পাকিস্তান বাধ্য হবে তাদের মাটিতে ভারত-বিরোধী কারবারিদের নির্মূল করতে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জলচুক্তি সম্পাদিত হয় ১৯৬০ সালে। সেইসময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জেনারেল আয়ুব খান। বিভিন্ন সময়ে ভারত-পাক সম্পর্কে নানা উত্তপ্ততা এলেও এই চুক্তিতে তার কোনও প্রভাব কখনও পড়েনি।
তবে, ভারত এই চুক্তি ভঙ্গ করে পাকিস্তানকে জল সরবরাহ বন্ধ করে দিতে চাইলেও একপেশেভাবে সেটা কতটা করা সম্ভব হবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞমহল সন্দিহান। কারণ এই চুক্তিটি আন্তর্জাতিক হওয়ার ফলে ভারত তার থেকে একতরফা ভাবে বেরিয়ে গেলে তাতে আন্তর্জাতিক মহলে নয়াদিল্লির মুখ পুড়তে পারে।