আলিয়ায় দাদাগিরি ও উপাচার্যকে খুনের হুমকির পর গ্রেফতার তৃণমূলের ‘বহিষ্কৃত’ ছাত্রনেতা
আলিয়ায় দাদাগিরি ও উপাচার্যকে খুনের হুমকির পর গ্রেফতার তৃণমূলের ‘বহিষ্কৃত’ ছাত্রনেতা
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে খুনের হুমকি ও অশ্রাব্য গালিগালাজ দিয়েছিলেন ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর দু'দিন পর গ্রেফতার হলেন অভিযুক্ত তৃণমূলের ছাত্রনেতা। যদিও তৃণমূল সেই দায় ঝেড়ে ফেলেছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
তবে ছাত্রনেতার ওই দাদাগিরি ফের একবার শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে থাপ্পড় মারা হুঁশিয়ারি, গালিগালাজ দেওয়া, এমনকী খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এই ভিডিও পরে ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিওতে তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতার দাদাগিরি সামনে চলে আসে। এরপর বিধাননগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে।
ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, একদল যুবক আচমকাই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালেয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে পড়ে। তারপর উপাচার্যের উপর চড়াও হয়। আঙুল উঁচিয়ে শাসানি থেকে হাত বাড়িয়ে থাপ্পড় মারার হুঁশিয়ারি, গালিগালাজ থেকে খুনের হুমকি- সবই সুস্পষ্ট ওই ভিডিও-তে। অভিযোগ, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলি স্বজনপোষণ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাল দশার জন্য উপাচার্য দায়ী বলে অভিযোগ ওই ছাত্রনেতার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই চড়াও হওয়ার ঘটনা বেনজির। বিশ্ববিদ্যালয়ে চড়াও হওয়া যুবকরা দাবি করেন, তাঁরা তৃণমূলের ছাত্রপরিষদের সদস্য। আর এই তাণ্ডবের নেতৃত্বে রয়েছেন গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। তিনি এই আলিয়া বিশ্বাবিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল এই ঘটনার পর জানিয়ে দিয়েছে, গিয়াসউদ্দিন এখন তাঁদের দলের কেউ নন। কেননা বেশ কয়েকদিন আগে ভিন্ন একটি ঘটনায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে।
তৃণমূলের বয়ান অনুযায়ী গিয়াসউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছে বহিরাগত হিসেবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, গিয়াসউদ্দিন আমাদের দলের কেউ নয়। আমরা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এবং এই বহিরাগত তাণ্ডবে যুক্ত যারা, তাদের কড়া শাস্তি দাবি করছি।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, তৃণমূল ছাত্রনেতাদের যে ধরনের বাঁদরামি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আমি নিজের চোখে দেখেছি, তা সহ্য করা যায় না। সম্মানীয় উপাচার্যের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে আমার লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এবং ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।