'প্রভাবশালী' তত্ত্বে সারদা কাণ্ডে জামিন খারিজ 'মন্ত্রী' মদনের
কলকাতা, ৬ অগাস্ট : নেতা ও মন্ত্রী থাকাকালীন যে প্রভাব তিনি বিস্তার করেছিলেন, সেটাই শেষপর্যন্ত কাল হল সারদা কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রর। [জেলে ব্যোমকেশ, ফেলুদা পড়ে সময় কাটাচ্ছেন মদন]
এই মামলায় জামিন পেতে কতোটা উৎসুক ছিলেন মদন তা এদিন বোঝা গেল। একসময়ের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দুঁদে আইনজীবী কপিল সিব্বলকে আমদানি করে ফেললেন তিনি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদনের শুনানি মামলায় মদনের হয়ে আবেদন করেন কপিল। তবে তাতেও শেষরক্ষা হল না। [জেলে বই পড়ে আর কীর্তন শুনে সময় কাটাচ্ছেন মদন]
মদন মিত্র প্রভাবশালী, তিনি বাইরে বেরিয়ে অসীম প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, এই মর্মে জামিনের বিরোধিতা করেছিলেন সিবিআই আইনজীবীরা। মদনের হয়ে সওয়ালে কপিল সিব্বল জানান, মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে একপায়ে রাজি তাঁর মক্কেল। তবুও সবশেষে মদন মিত্রের জামিনের আর্জি ফের খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। [শুধু সারদা নয়, এমপিএসের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন মদন]
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন মদন মিত্র। কয়েকদিন আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে কাটানোর পরই শারীরিক গোলযোগের দাবি করে তিনি সেই যে গিয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে থেকে সেখানকার উডবার্ন ওয়ার্ডই মন্ত্রির থাকার জায়গা। [মদের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন মন্ত্রী মদন!]
এসব কথা আদালতে বিচারপতি নিশিথা মাত্রেকে জানিয়ে মদনের জামিনের বিরোধিতা করা হয়। এরপর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক।
বহুদিন ধরেই মদনের জামিন নিয়ে নানা টালবাহনা চলছিল। নিম্ন আদালতে জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পরে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। বেশ কয়েকবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিচারপতিরা সে মামলা শোনেননি। এরপরে এদিন সরাসরি মদনের জামিন খারিজ হয়ে গেল। [সারদায় স্বচ্ছ্ব তদন্ত হোক, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে আর্জি কুনালের]
সূত্রের খবর, জামিন পেতে এবার সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে চলেছেন এখনও মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকারের আমলে এখনও ক্রীড়ামন্ত্রীর পদে থাকা মদন মিত্র।