সপ্তমীকে টেক্কা দেবে অষ্টমীর রাতের জনপ্লাবন, দাবি পুজো কর্তাদের
তবে প্রতিবারের মতো পুলিশের তদারকিতে এবারও ভিড় সামলানো গিয়েছে খুব মসৃণভাবেই। রাস্তায় গাড়ি ঘন্টার পর ঘন্টা থমকে দাঁড়িয়ে রয়েছে এ দৃশ্য খুব একটা দেখা যায়নি। যদিও কিছু মাঝারি সারির মণ্ডপে পুজো কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ইচ্ছে করে ভিড় তৈরি করা হয়েছে বলে।
তবে আজ অষ্টমী। ভিড় আজ আরও বাড়বে বলে অনুমান পুজো কর্তাদের। সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে অঞ্জলি দেওয়ার ভিড়। পাঁজি মতে এবার অবশ্য অঞ্জলি অনেক সকালে। তাই সারারাত ঠাকুর দেখলেও সকালে আধ ঘুম চোখে পৌঁছে যাওয়া মণ্ডপে। মা বছরে একবার আসেন। সারাবছর এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকার পর শুধু মাত্র ঘুমের কারণে কী আর অঞ্জলি মিস করা যায়!
মহাষ্টমী উপলক্ষে হবে কুমারী পুজোও। বেলুড় মঠে কুমারী পুজো দেখার জন্য ভিড় জমান অনেক ভক্তরা। শুধু কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকা নয়, এখানকার কুমারী পুজো দেখতে দেশ বিদেশ মানুষজন এসে ভিড় জমান।
এবার পুজো তিনদিনের। অষ্টমীর রাত কাটলেই মায়ের যাওয়ার সময় চলে আসবে। তাই অষ্টমীর আনন্দের মাঝেই বিষাদের সুর যেন ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বড় বড় পুজা মণ্ডপগুলি অবশ্য বিসর্জন দেবে রবিবার। ফলে হাতে কিছুটা সময় পাওয়া যাবে।
এখন আকাশের মুখ ভার না হলেই হল। অবশ্য ভার হোক ক্ষতি নেই। কিন্তু কান্নাকাটি করলেই একেবারে সব ঘেঁটে ঘ হয়ে যাবে। অষ্টমী মানেই সেজেগুজে একেবারে ফুলবাবু-ফুলটুসি সেজে মণ্ডপে যাওয়া। বৃষ্টি নামলে সব মাটি হয়ে যাবে যে! তাই মায়ের কাছে প্রার্থনা আজকের দিনটা উতরে দাও মা গো।