একই দিনে করোনায় আক্রান্ত কাউন্সিলর-পুরকর্মীসহ নিউ মার্কেট থানার ৮ জন পুলিশকর্মী
একই দিনে করোনায় আক্রান্ত এক কাউন্সিলর সহ পুরকর্মী ও নিউ মার্কেট থানার ৮ জন পুলিশকর্মীও। এরা প্রত্যেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় আংশিক লকডাউন জারি হয়েছে গোটা রাজ্যে। তারই মধ্যে এই মারণ ভাইরাসে কলকাতা পুরনিগমের বেহালা এলাকার এক কাউন্সিলর আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, কলকাতা পুরনিগমের জন্মমৃত্যু নথিভুক্তকরণের বিভাগেরও এক কর্মী মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আবার একই দিনে আবার নিউ মার্কেট থানার ৮ জন পুলিশকর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন এই মারণ ভাইরাসে।
এতদিন কলকাতায় অন্যান্য রাজনীতিবিদ, নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়কদের আক্রান্ত হওয়ার খবর থাকলেও কোনও কাউন্সিলরের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর ছিল না। কিন্তু এবার কলকাতা পুরনিগমেরই এক কাউন্সিলর আক্রান্ত হলেন এই মারণ ভাইরাসে। জানা গিয়েছে বেহালার বড়িশা এলাকার শাসক দলের এক কাউন্সিলর তিনি। ওই এলাকার দুইবারের কাউন্সিলর। গত বুধবার থেকে তিনি শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনার জেরে বন্ধ রাখা হচ্ছে এলাকার বাজারহাট ও দোকানপাট। সেই সঙ্গে ওই এলাকায় কটেনমেন্ট জোনও ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনস্থ জন্মমৃত্যু নথিভুক্তকরণ বিভাগের বছর পঞ্চাশের এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বাড়ি হুগলি জেলার চন্দননগরে। দিন দশেক আগে তিনি শেষ বার কাজে এসেছিলেন। উপসর্গ ধরা পড়তেই গত মঙ্গলবার তাঁর করোনার টেস্ট করা হয়। বুধবার সেই টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এদিন কলকাতা পুরনিগমের জন্মমৃত্যু নথিভুক্তকরণ বিভাগের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই বিভাগে ২৬জন ক্যাজুয়েল ও ৬জন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। এদিন সকাল থেকেই এই ৩২জন কর্মী একযোগে কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছেন।
অন্যদিকে, জারি রয়েছে কলকাতা পুলিশের একের পর এক থানায় মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এবার নিউ মার্কেট থানার ৮ জন পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তার জেরে ওই থানা স্যানিটাইজ করা হয়েছে। এবং থানার অন্যান্য কর্মীদের আরও একবার টেস্ট করানো হবে বলে জানা গিয়েছে।