পুলিশ আবাসনেই বহিরাগতদের হামলা! নিরাপত্তাহীনতায় পরিবারের সদস্যরা
কলকাতা পুলিশের আবাসনের মধ্যে ঢুকেই চার পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়ার নওদাপাড়া এলাকায়।
কলকাতা পুলিশের আবাসনের মধ্যে ঢুকেই চার পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়ার নওদাপাড়া এলাকায়। নিরাপত্তার দাবি এবং প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শনিবারের মতো রবিবারও সামিল হয়েছিলেন পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্যরা।
যে পুলিশ কর্মীরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেন, তাদের পরিবারের সদস্যরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘটনাটি প্রত্যন্ত কোনও অঞ্চলের নয়। কলকাতা লাগোয়া বেলঘরিয়ায়। বেলঘরিয়ার নওদাপাড়ার আবাসনে তিনশোটি পরিবারের বাস। তবে সেখানে কিছু পরিত্যক্ত আবাসনও রয়েছে। সেখানেই বহিরাগতরা কাজকর্ম করে বলে অভিযোগ। ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা মাঠে পুলিশকর্মীদের সন্তানরা খেলার সুযোগ পায় না। বহিরাগতরা তাদের মারধর করে সরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ।
আবাসিকদের অভিযোগ, পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে বহিরাগতরা বিছানা পর্যন্ত পেতে রেখেছে। সেখানেই চলে মাদকের কারবার। দিনভর চলে মদ-গাঁজার আসর। আবাসনে কোনও বাউন্ডারি ওয়াল কিংবা কোনও নিরাপত্তারক্ষীও নেই। বারবার বেলঘরিয়া থানা এবং কলকাতা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েও কোনও ফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
শনিবার
কয়েকজন
পুলিশকর্মীর
ওপর
হামলার
পরেই
বিক্ষোভে
নামেন
আবাসিকরা।
জানা
গিয়েছে,
শনিবার
দুপুরে
আবাসনের
ভিতরে
রাস্তার
ওপর
বসে
অশ্লীল
আচরণ
করছিল
এক
যুবক
ও
যুবতী।
এক
পুলিকর্মী
সেখান
থেকে
তাদের
বেরিয়ে
যেতে
বলেন।
এই
সময়
ওই
যুবক-যুবতী
দেখে
নেওয়ার
হুমকি
দেয়।
এরপর
ওই
পুলিশকর্মী
যখন
কর্মস্থলের
দিকে
যাচ্ছিলেন,
তখন
তাঁকে
মারধর
করা
হয়।
মেরে
মুখ
ফাটিয়ে
দেওয়া
হয়
বলে
অভিযোগ।
এই
ঘটনার
পরেই
আবাসিক
পুলিশকর্মীরা
পাশের
বস্তিতে
অভিযুক্তদের
খুঁজতে
যান।
সেই
সময়
আবাসিকদের
লক্ষ্য
করে
ইট
ছোড়া
হয়
বলে
অভিযোগ।
সেই
সময়
জখম
হন
আরও
কয়েকজন
আবাসিক।
ঘটনার
প্রতিবাদে
বিটি
রোড
অবরোধ
করেন
আবাসিকরা।
অভিযোগ,
আক্রমণকারীদের
বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা
না
নিয়ে
বেলঘরিয়া
থানার
পুলিশ
আবাসিকদেরই
ঘরের
মধ্যে
ঢুকিয়ে
দেয়।