নাগেরবাজার বিস্ফোরণে কারা দায়ী 'ইঙ্গিত' করলেন মমতা! বললেন সজাগ থাকতে
নাগেরবাজার বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ খুলেও খুললেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দিলেন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত। পুলিশকে বললেন নজর রাখতে। আর ওসিদের উদ্দেশে বললেন, থানায় বসে না থেকে, বাইরে বেরিয়ে খোঁজ
নাগেরবাজার বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ খুলেও খুললেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দিলেন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত। পুলিশকে বললেন নজর রাখতে। আর ওসিদের উদ্দেশে বললেন, থানায় বসে না থেকে, বাইরে বেরিয়ে খোঁজ খবর করতে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক হিংসুটে লোক আছে। পরিকল্পিত ভাবে হিংসার চেষ্টা করছে। ব্যাগ রাখছে। জলপাইগুড়ির গাজোলডোবায় পর্যটন হাবের উদ্বোধনে গিয়ে পুলিশকে বললেন সজাগ থাকতে।
বিস্ফোরণ হয়েছিল মঙ্গলবার সকাল নটা নাগাদ। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায়। নাম না করে তিনি বিজেপি-আরএসএস-এর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। যদিও তা পুরনো নকশাল অর্থাৎ পাচু রায়, পূর্ণেন্দু বসুদের দিকেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সিপিএম-সহ বাকি বিরোধীদের তরফে বিস্ফোরণে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছিল। যা কিছু হোক না কেন, তা পুলিশের নজর এড়িয়েই হয়েছিল। তৃণমূলের দাবি অনুযায়ী, দক্ষিণ দমদম এলাকায় ১০০ % তৃণমূল। সেই রকম জায়গায় এই বিস্ফোরণ নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভাবিত প্রশাসনও।
বুধবার নাগেরবাজার বিস্ফোরণে দায়িত্ব সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন সিআইডি-র আধিকারিকরা। তবে দেড় দিন পরে এলাকায় ফরেনসিক টিম যাওয়ায় তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। কেননা মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পরেই জল দিয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার কর্মীরা। বিস্ফোরণের পর এলাকা ঘিরে রাখার যে প্রক্রিয়া করা উচিত, তা করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।