ভোকাল কর্ডে টিউমার মদনের, আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গড়ে হবে অস্ত্রোপচার
গত বছর নির্বাচনের আগে থেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন তিনি। একবার করোনা তো পরের বার শ্বাসকষ্ট। এবার আবারও তিনি ভর্তি হলেন হাসপাতালে। আবারও অসুস্থ হয়েছেন তিনি। এবার সমস্যা ভোকাল কর্ডে। সমস্যা আগেই হয়েছিল। জানা গিয়েছে তিনি চেপেছিলেন বিষয়টা। সমস্যা বেড়েছে। তাই নিজেই ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। হবে অস্ত্রোপচার।
কিন্তু তৃণমূল বিধায়কের ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে গলায় টিউমার হয়েছে। সেটা ঠিক করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। তার অস্ত্রোপচারের জন্য গঠন করা হয়েছে মেডিকেল বোর্ড। বিস্বস্ত সূত্রে জানানো হয়েছে যে , "মদন মিত্রের গলায় অস্ত্রপচার করা হবে। তাঁর গলায় টিউমার রয়েছে। অস্ত্রোপচার করে সেই টিউমারটি বের করা হবে তাঁর গলা থেকে। " এসএসকেএমে ভর্তি হতে গিয়ে বিধায়ক খুব কষ্ট করে কথা বলেন। তিনি বলেন, "কথা বলতে গেলে তাঁর গলা দিয়ে কাকের মতো আওয়াজ বের হচ্ছে। ভোকাল কর্ডে অনেকদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছে। তবে আমি চেপে রেখেছিলাম বিষয়টাকে। এখন সমস্যাটা বেড়েছে। তাই নিজে থেকেই ভর্তি হচ্ছি। কথা বললে কাকের মত আওয়াজ বের হচ্ছে।"
গত বছর নারদকাণ্ডে মদন মিত্রকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন তিনি এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছিলেন। তখনই শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিত্সকরা তাঁকে জানিয়েছিলেন যে তাঁর গলায় ছোট একটি টিউমার রয়েছে। সেই সময় অস্ত্রোপচার করার কারণ খুঁজে পাননি চিকিত্সকরা। স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে রোগ সারিয়ে তোলার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তাঁরা। এখন পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই অস্ত্রোপচার করতেই হচ্ছে বলা জানা গিয়েছে হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জন্য আট সদস্যর মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে এসএসকেএমে। বোর্ডে রয়েছেন ইএনটি বিশেষজ্ঞ অরুণাভ সেনগুপ্ত, ডি ঘোষ। চেস্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সোমনাথ কুণ্ডু, মেডিসিনের সৌমিত্র ঘোষ, কার্ডিওলজির সরোজ মণ্ডল, এন্ডোক্রিনোলজির শুভঙ্কর চৌধুরী। তাছাড়া আছেন অ্যানাস্থেসিওলজির এ লাহা এবং দেবব্রত দাস। বুধবার বোর্ডের বৈঠক আছে বলে জানা গিয়েছে।